শিরোনাম
আগামী সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোতে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে তার বৈঠক হবে।
বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে এফ-৩৫ ফাইটার জেট বিতর্ক নিয়ে কথা বলবেন এরদোয়ান। বুধবার আজারবাইজান সফর শেষে এরদোয়ান বলেছেন, রোম নয়, খুব সম্ভবত আমরা গ্লাসগোতে বৈঠকে বসবো। সেখানে আমি এফ-৩৫ নিয়ে বাইডেনের সঙ্গে কথা বলবো। আগামী সপ্তাহে গ্লাসগোতে এই শীর্ষ সম্মেলন হবে। সেখানেই আলাদা করে বাইডেন-এরদোয়ান বৈঠক হবে।
রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ মিসাইল কেনার জন্য তুরস্ককে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রি করতে অস্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তুরস্ক এই যুদ্ধবিমান কেনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ১৪০ কোটি ডলার দিয়েছে। ওয়াশিংটন প্রস্তাব দিয়েছে, ওই অর্থের বিনিময়ে তারা তুরস্ককে এফ-১৬ বিক্রি করতে রাজি। এরদোয়ান বলেছেন, আমরা এফ-৩৫ কেনার জন্য ১৪০ কোটি ডলার দিয়েছি। সেই অর্থ এখন যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে ফেরত দেবে, তা নিয়ে বাইডেনের সঙ্গে কথা বলবো।
বাইডেন এবং এরদোয়ান দু’জনেই কপ-২৬ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। সেখানেই দুই নেতার আলাদা করে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে তুরস্কের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মন্তব্য করার জন্য এরদোয়ান যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ দশ দেশের রাষ্ট্রদূতকে পার্সোনা নন গ্রাটা বলে ঘোষণা করেছিলেন। তার পরের ধাপই হলো রাষ্ট্রদূতদের বহিষ্কার করা। কিন্তু পরে এরদোয়ান তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। রাষ্ট্রদূতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।
রাষ্ট্রদূতরা তুরস্কের মানবাধিকারকর্মী ও জেলে বন্দি ওসমান কাভালাকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। পরে তারা একটি বিবৃতি দিয়ে বলেন, তুরস্কের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে তারা আর মন্তব্য করবেন না।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে