শিরোনাম
সিরিয়ায় বিভিন্ন সময় সামরিক অবস্থানে হামলা চালায় ইসরাইল। তা নিয়ে সিরিয়ার সঙ্গে ইসরাইলের উত্তেজনা দেখা দেয় মাঝেমধ্যেই। আবার রাশিয়া সিরিয়ার অন্যতম মিত্র। অপরদিকে ইহুদিবাদী দেশ ইসরাইলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক গভীর। তাই সব দিক বিবেচনায় নিয়ে সিরিয়ায় নিজেদের প্রভাব বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেনদরবারের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বেছে নিলেন ইসরাইলকে।
সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটকে অনুরোধ জানিয়েছেন, বেনেট যেন যুক্তরাষ্ট্রকে সিরিয়ার বাশার আল-আসাদ সরকারের ওপর থেকে কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে উৎসাহ দেয়। আর এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে রাশিয়ার কোম্পানিগুলো সিরিয়ার পুনর্গঠনে অংশ নিতে পারবে।
দ্য অ্যাক্সিওস নিউজের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় তুরস্কের গণমাধ্যম আনাদোলু।
পরিচয় প্রকাশ না করে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, মস্কো সিরিয়ার অর্থনীতিতে তার প্রভাব ও রাজস্ব বাড়ানোর জন্য দেশটির বেশিরভাগ বড় আকারের পুনর্গঠন প্রকল্পগুলো পেতে আগ্রহী।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে রাশিয়ার সোচিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পুতিন বেনেটকে বলেন, রাশিয়ার কোম্পানিগুলো সিরিয়ায় ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে ভয় পাচ্ছে। তাদের ভয়ের কারণ হলো—সেখানে ব্যবসা করলে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে হতে পারে।
ইসরাইলি সূত্রটি জানায়, রাশিয়ার কর্মকর্তাদের দাবি— যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ইরানের কোম্পানিগুলোকে সিরিয়ায় বড় পুনর্গঠন প্রকল্পগুলো পাওয়ার পথ খুলে দিয়েছে, যে প্রতিষ্ঠানগুলো এমনিতেই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে। ফলে সিরিয়ায় ইরানের প্রভাব ধীরে ধীরে বেড়েই চলেছে।