শিরোনাম
গাজায় গণমাধ্যমের ভবনে হামলায় বেশি ক্ষতি হয়েছে ইসরাইলের। এমনটিই জানিয়েছেন দেশটির সাবেক এক জেনারেল। সূত্রঃ মিডল ইস্ট আইয়
এক অনুসন্ধানের কথা উল্লেখ করে ইসরাইলি ওই জেনারেল বলেন, চলতি বছরের মে মাসে গাজায় গণমাধ্যমের ভবনে বিমান হামলা থেকে যে পরিমাণ লাভ হয়েছে, তারচেয়ে বেশি ইসরাইলের ভাবমূর্তির ক্ষতি হয়েছে। সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার আগে গাজায় ইসরাইলের হামলা নিয়ে মেজর জেনারেল নিটজান অ্যালন একটি তদন্তের নেতৃত্ব দেন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, বোমা হামলা চালিয়ে দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস, আলজাজিরা, মিডল ইস্ট আই এবং অন্তত চারটি সংস্থার অফিস গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনা ইসরাইলের জন্য ‘আত্মঘাতী গোলের’ মতো।
অ্যালন যিনি ইসরাইলের সাম্প্রতিক বোমা হামলার সঙ্গে জনসংযোগ-সংক্রান্ত বিষয়ে সেনাবাহিনীর তদন্তের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি গাজা শহরের ১১ তলা আল-জালা টাওয়ারে হামলার কারণে তাত্ক্ষণিক আন্তর্জাতিক সমালোচনা প্রত্যক্ষ করেছেন।
‘কূটনৈতিক ক্ষতি’
অ্যালন বলেন, ইসরাইলের সেনাবাহিনীতে সবাই হয়তো একটি বিষয় বিশ্বাস করে না। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি ওই হামলার ঘটনা ভুল ছিল। এ হামলার কারণে কূটনৈতিকভাবে যে ক্ষতি হয়েছে তারচেয়ে লাভের পরিমাণ সামান্য।
যদিও ইসরাইল দাবি করেছিল, ভবনে বেসামরিক লোকজন বসবাস করত এবং সেখানে বাণিজ্যিক অফিসও ছিল। যাদের হামাস ‘মানব ঢাল’ হিসেবে ব্যবহার করত। যদিও সেখানে থাকা গণমাধ্যমগুলোর কর্মীরা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। হামলার পর এপির প্রেসিডেন্ট ও সিইও গ্যারি প্রুইট বলেন, হামাস সেখানে রয়েছে সে বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য ছিল না। এপির প্রধান শ্যালি বুজবি এ ঘটনার স্বাধীন তদন্ত দাবি করেছেন।
অপরদিকে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স আন্তর্জাতিক ক্রিমিনাল কোর্টকে (আইসিসি) এ বিষয়ে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। সেই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ভবনটিতে হামাসের কার্যক্রমের কোনো ইসরাইলি প্রমাণ তিনি দেখেননি।
‘যুদ্ধাপরাধ’
আগস্টে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) এক প্রতিবেদনে বলে, আল-জালা টাওয়ারে হামলার ঘটনায় ‘যুদ্ধাপরাধ’ সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে।
গাজায় মে মাসে ইসরাইলের এ সামরিক অভিযানে অন্তত ২৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬৬ জন শিশুও রয়েছে।