শিরোনাম
হিজবুল্লাহ ও হামাস নেতাসহ বিপ্লবী গার্ড কমান্ডারদের হত্যার প্রতিবাদে গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলের মূলভূখণ্ডে কমপক্ষে ১৮০টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়ার মাধ্যমে হামলা চালায় তেহরান। অজ্ঞাত ইসরায়েলি কর্মকর্তার মতে সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল একটি বড় আক্রমণ চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর অংশ হিসেবে সম্ভাব্য ইরানি হামলা রুখে দিতে প্রতিরক্ষা ফের মজবুত করা হচ্ছে। তবে, ওই কর্মকর্তা ইসরায়েলের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
এদিকে, পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ইসরায়েলের হুমকির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জমা দিয়েছে ইরান। সোমবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘায়ি বলেছেন যে, প্রতিবাদ নোটটি জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থার কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে এবং তিনি যোগ করেন, এই হুমকিগুলোর বিরুদ্ধে বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বাঘায়ির মন্তব্য এমন সময় এসেছে যখন প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেয়া হচ্ছে যে, ইসরায়েল ১ অক্টোবরের মিসাইল হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইরানের ওপর একটি ‘বড় আক্রমণ’ চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে, যেখানে স্পষ্ট করা হয়নি যে পরমাণু কেন্দ্র ছাড় পাবে কি না।
এর আগে, গত ১৫ অক্টোবর, ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পরিকল্পনা প্রকাশ করে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে একটি সূত্র এমনটি জানিয়েছে। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘনিষ্টমিত্র যুক্তরাষ্ট্রকে আশ্বস্ত করেছেন, পাল্টা আক্রমণ শুধুমাত্র সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে সীমাবদ্ধ থাকবে, জ্বালানি বা পারমাণবিক স্থাপনায় নয়।
হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহ ও হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়াহসহ অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইরান গত ১ অক্টোবর একযোগে প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দিকে ছোড়ে।
এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ৫ নভেম্বরের আগে ইসরায়েল পাল্টা আঘাত হানবে, যা দেশটির নির্বাচনের চূড়ান্ত মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনাকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসতে পারে।
তবে ইসরায়েলের পাল্টা আক্রমণের সময়সূচি ও পরিধি নিয়ে নেতানিয়াহু সরকারের মধ্যে রুদ্ধদ্বার আলোচনা চলছে। যদিও বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মার্কিন রাজনীতির প্রতি সংবেদনশীল, তার নেয়া পদক্ষেপের ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক প্রভাব সম্পর্কে তিনি সচেতন।
এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যের বাড়তে থাকা উত্তেজনা এবং সংকট মার্কিন নির্বাচনে একটি প্রধান ইস্যুতে পরিণত হয়েছে, যা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিসের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে।
এসব হামলার পরপরই প্রতিশোধ নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘ইরান একটি বড় ভুল করেছে এবং এর মাশুল দিতে হবে। তিনি আরও বলেছেন, ইরানের হামলার জবাব দিতে কাঙ্ক্ষিত সময় ও স্থানের জন্য তিনি অপেক্ষা করছেন।