জাতিসংঘে যুদ্ধ-সংকটের সমাধান দেননি বাইডেন

ফানাম নিউজ
  ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:৩৮

বিশ্বকে আরও বিভাজিত করে মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করে তোলার দায় নিয়েই জাতিসংঘের মঞ্চে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শেষ ভাষণ দিলেন জো বাইডেন। তার শাসনামলেই দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে ইউরোপ। মধ্যপ্রাচ্যও বড় সংঘাতের মুখে দাঁড়িয়ে। তবে জাতিসংঘের মঞ্চে দাঁড়িয়ে আবারও ফাঁকা বুলি ছুড়লেন বাইডেন।

ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ ব্যর্থ হয়েছে আর ইসরায়েল-লেবাননের মধ্যে সমস্যা এখনো কূটনীতির মাধ্যমে সমাধান সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

ক্ষমতার চেয়ার ছাড়তে হবে আর মাত্র চার মাস পর। তবে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিশ্বকে নতুন কিছু উপহার দিতে পারলেন না বাইডেন। এ দিন তিনি ইউক্রেন, গাজা ও সুদানের মতো বৈশ্বিক সংকট নিয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু তার প্রেসিডেন্সিতেই বিশ্বে নতুন করে শুরু হওয়া এসব সংকটের সমাধানের কোনো পথ বাতলে দিতে পারেননি তিনি।

দুই বছর ধরে ইউরোপের প্রাণকেন্দ্রে যুদ্ধ চলছে। গাজায়ও ইসরায়েলি আগ্রাসনের এক বছর হতে চলল। নতুন করে লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে বড় সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েল। অথচ, এসব সংঘাতের সমাধান না করে, প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ইসরায়েলকে মদদ দিয়ে গেছেন বাইডেন। তার আসকারা পেয়েই ইসরায়েল আজ বুক ফুলিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে একের পর এক যুদ্ধ বাধাচ্ছে।

তবে সেদিকে যেন মোটেও দৃষ্টি নেই ৮১ বছর বয়সী বাইডেনের। ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর উদ্দেশে লেবানন ইস্যুতে বাইডেন বলেন, সর্বাত্মক যুদ্ধ কারও কাম্য নয়। তারপরও যদি এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, এখনো কূটনীতিক সমাধান সম্ভব। জোর করতালির মধ্যেই বাইডেন ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের গাজার যুদ্ধবিরতি নিয়ে চুক্তিতে পৌঁছানোর আহ্বান জানান।

বাইডেন ক্ষমতায় বসার দুই বছর পর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা করে বসে রাশিয়া। তবে ওই যুদ্ধ থামাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন বাইডেন। উল্টো যুক্তরাষ্ট্রের উসকানির কারণেই ইউরোপে শুরু হওয়া এই যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ নেই। পশ্চিমা নেতাদের মধ্যে এ নিয়ে খুব একটা আগ্রহও নেই। ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তারা। কিয়েভের প্রতি নিজের সমর্থন জাতিসংঘেও পুনর্ব্যক্ত করেন বাইডেন।

পুতিনের নিজের মূল লক্ষ্যে ব্যর্থ হয়েছেন উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট বলেন, ভালো খবর হচ্ছেন পুতিনের যুদ্ধ তার মূল লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ। তিনি ইউক্রেনকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ইউক্রেন এখনও মুক্ত। আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়া বা মুখ ফিরিয়ে নেওয়া উচিত নয়। আমরা ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখব, ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ না ইউক্রেন ন্যায়ভাবে জয়ী হয় এবং স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়।