শিরোনাম
জাপানের ইশিকাওয়া প্রিফেকচারে অতিবৃষ্টিজনিত বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ আছেন ১০ জন। বন্যায় এই অঞ্চলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওয়াজিমা ও সুজু শহর। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হয়ে এই প্লাবন সোমবার আন্তর্জাতিক সময় ৩টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, রবিবার সেপ্টেম্বরে স্বাভাবিকের দ্বিগুণ বৃষ্টিপাত প্রত্যক্ষ করেছে দুই নগরবাসী। কয়েক ডজন নদীর পানি দুতীরে উপচে পড়েছে। ফলে পার্শ্ববর্তী অসংখ্য রাস্তা পানিতে ডুবে গেছে।
ওয়াজিমা শহরে ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত একটি সুড়ঙ্গের কাছ থেকে দুই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে দ্য জাপান টাইমস জানিয়েছে, অন্য নিহতদের মধ্যে দুই বৃদ্ধ ও এক বৃদ্ধা ছিলেন।
শনিবার জাপানের আবহাওয়া সংস্থা ইশিকাওয়াতে সর্বোচ্চ সতর্কতা সংকেত জারি করেছিল। পরদিন একে সাধারণ সতর্কতার পর্যায়ে নামিয়ে আনা হয়। তবে সোমবার দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় জনগণকে সদাসতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়।
চলতি বছরের প্রথমদিনে ভয়াবহ ভূমিকম্পের শিকার হয় জাপান। সেই দুর্যোগে ঘরবাড়ি হারানো মানুষকে অস্থায়ী আবাসন গড়ে দেওয়া হয়েছিল। বন্যায় সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশটির প্রচারমাধ্যম এনএইচকে’র এক ফুটেজে দেখা যায়, ওয়াজিমার একটি সম্পূর্ণ সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে।
হোকুরিকু ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি জানিয়েছে, সোমবার প্রায় চার হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
ইশিকাওয়ার ওয়াজিমা, সুজু, নোতোসহ চার শহরের ৪০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এএফপি নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ইশিকাওয়ার উত্তরে অবস্থিত নিইগাতা ও ইয়ামাগাতা প্রিফেকচারের ১৬ হাজার বাসিন্দাকে সরে যেতে বলেছে কর্তৃপক্ষ।