যুদ্ধবিরতিতে রাজি স্বাধীনতাকামী হামাস

ফানাম নিউজ
  ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:১৩

গাজায় অতি দ্রুত একটি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে হামাস। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি নিজেও আর কোনো শর্ত দিতে চায় না, নতুন করে আর কোনো পক্ষের কাছ থেকেও শর্ত দেখতে চায় না। যুক্তরাষ্ট্র যে খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে, গোষ্ঠীটি তাতেই রাজি। 
 
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটি এক বিবৃতিতে বলেছে যে, হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা খলিল আল-হাইয়ার নেতৃত্বে তাদের আলোচক দল গতকাল বুধবার কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি এবং মিসরের গোয়েন্দা প্রধান আব্বাস কামেলসহ দোহায় গাজার সর্বশেষ উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করতে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে দেখা করেছে। 

দীর্ঘ ১১ মাস ধরে চলা এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ব্যর্থ হয়েছে সব ধরনে আলোচনা। এখন পর্যন্ত কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র, মিসর, কাতার এবং ইসরায়েল ও হামাস। মূলত হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে ফিলাডেলফি করিডরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে সর্বশেষ আলোচনাও ভেস্তে গেছে। 

এদিকে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পরিচালক উইলিয়াম বার্নস গত শনিবার বলেছিলেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আরও বিশদ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব করা হবে। গাজায় যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে বহুপক্ষীয় যে আলোচনা চলছে তাতে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচক দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন উইলিয়াম বার্নস। 

উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি খসড়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব উত্থাপন করেন গাজায় যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলি জিম্মি এবং ফিলিস্তিনি বন্দী বিনিময়ের লক্ষ্যে। এই প্রস্তাবে তিন ধাপে একটি দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন করার কথা ছিল। পরে বাইডেনের প্রস্তাব জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও সমর্থন পায়। 

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলি সীমান্ত পেরিয়ে দেশটির অভ্যন্তরে হামলা করে, যাতে ১ হাজার ১৫০ জনের মতো নিহত হয় এবং ২৫০ জনের মতো ইসরায়েলিকে জিম্মি করে আনা হয়। প্রতিক্রিয়ায় সেদিন থেকেই গাজায় হামলা চালাতে শুরু করে ইসরায়েল, যা এখনো চলছে। ইসরায়েলি হামলায় বিগত ১১ মাসে অঞ্চলটিতে ৪১ হাজার ৮৪ জন নিহত ও ৯৫ হাজার ২৯ জন আহত হয়েছে।