শিরোনাম
২০১৭ সালে সৎভাই মোহাম্মদ বিন নায়েফকে অবৈধভাবে হটিয়ে মোহাম্মদ বিন সালমানকে যুবরাজ হিসেবে ঘোষণা দেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ। সেই থেকে বিশ্ব রাজনীতিতে উত্থান ঘটে নতুন এক আরব নেতার। যাকে ঘিরে পাল্টে যায় মধ্যপ্রাচ্যের পুরো ভূরাজনীতি। এমনকি রক্ষণশীল সৌদি সমাজেও আসে অবিশ্বাস্য রকমের পরিবর্তন।
সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের উত্থানের ভয়ংকর এক গল্প। সেখানে বলা হয়- ২০১৪ সালে তৎকালীন সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহকে রাশিয়া থেকে প্রাপ্ত একটি বিষযুক্ত আংটি দিয়ে হত্যা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন মোহাম্মদ বিন সালমান।
সৌদির এক সাবেক শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, একটি গোপনে নজরদারি ভিডিওতে বাদশাহকে এই বিষ প্রয়োগের ব্যাপারে মোহাম্মদ বিন সালমানের অভিপ্রায়ের কথা উঠে আসে। তারপর তাকে রাজদরবার থেকে নিষিদ্ধ করা হয়, অনেক দিন রাজার সঙ্গে তার হাত মেলানো নিষিদ্ধ ছিল।
সাধারণত সৌদি মসনদে কার পর কে বাদশাহ হতে পারে তা নিয়ে আগ্রহ থাকে পশ্চিমা দেশগুলোর। কিন্তু এমবিএস (মোহাম্মদ বিন সালমান) এতটাই তরুণ ও অপরিচিত ছিলেন, কেউ ভাবতেই পারেনি এ তরুণ কখনো এত দ্রুত সৌদি মসনদের উত্তরাধিকারী হতে পারেন। এমবিএস তার কিশোর বয়সে রিয়াদে সর্বপ্রথম কুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন, যখন তাকে ‘আবু রাসাসা’ বা ‘বুলেট বাবা’ নাম দেওয়া হয়েছিল।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, রাজ পরিবারের সম্পত্তির বিরোধে এমবিএস-এর দাবি অগ্রাহ্য করায় তিনি এক বিচারককে খামে করে একটি বুলেট পাঠিয়েছিলেন।
যুবরাজ বিন সালমানের এমন অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতার কারণ হিসেবে বলা হয়- তিনি বিদেশি মসজিদ এবং ধর্মীয় স্কুলগুলোতে সৌদি অর্থায়ন বন্ধ করে দেন। যা পশ্চিমা দেশগুলোর নিরাপত্তায় বিশাল সুবিধা বয়ে আনে। এ ছাড়াও বাদশাহ সালমান অনেক বছর ধরে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকা ভুলে যাওয়া রোগে ভুগছিলেন।
আর এ কারণে বাদশাহ সালমান কোনো সাহায্যের জন্য তার ছেলে এমবিএসের মুখাপেক্ষী ছিলেন। বলা হয়, যুবরাজ একটি আইপ্যাডে নোট লিখতেন, তারপর সেগুলো তার বাবার আইপ্যাডে পাঠাতেন, তিনি পরবর্তীতে কী বলবেন সে বিষয়ে ধারণা দেওয়ার জন্য।
বাবার ওপর নিজের আধিপত্যই নয় ইয়েমেনে স্থল সেনা পাঠাতে বাবা বাদশাহ সালমানের স্বাক্ষরও নকল করেন এমবিএস। বিবিসির ‘দ্য কিংডম : দ্য ওয়ার্ল্ডস মোস্ট পাওয়ারফুল প্রিন্স’ শিরোনামে একটি ডকুমেন্টরিতে এমন অভিযোগ করেন সাবেক সৌদি নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাদ আল জাবরি।
র নেপথ্যে