শিরোনাম
শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনের অবসানের পর আজ বাংলাদেশে গঠিত হয়েছে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত এই সরকারকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে নতুন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের উদ্দেশ্যে মোদি বলেছেন, “নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করা প্রফেসর ইউনূসের প্রতি আমার শুভেচ্ছা। আমরা আশা করি (বাংলাদেশে) স্থিতিশীলতা ফিরবে, হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ সকল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।”
তিনি আরও বলেছেন, “ভারত— বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি, উভয় দেশের নাগরিকের শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের আকাঙ্খার প্রতি বদ্ধপরিকর।”
দেড় মাস আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সরকারি চাকরিতে থাকা কোটা নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়। কিন্তু ছাত্রলীগ এবং পুলিশ বাহিনীকে দিয়ে এটি দমন করার চেষ্টা চালায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার।
এক পর্যায়ে পুলিশের গুলিতে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদসহ আরও কয়েজকন নিহত হওয়ার পর সাধারণ শিক্ষার্থীর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং বিচারের দাবি জানাতে থাকেন।
বিচারের আশ্বাস দিলেও সরকারের কর্মকাণ্ডে অখুশি হয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন আরও তীব্র করেন। এই সময় আন্দোলন দমাতে হাসিনা সরকার সর্বোচ্চ বলপ্রয়োগ শুরু করে। কিন্তু তা সত্ত্বেও এটি থামাতে ব্যর্থ হয় তারা। এরপর এটি রূপ নেয় হাসিনা হটানোর আন্দোলনে। অবশেষে ছাত্র ও জনতার চাপে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন।
তবে এর আগেই ঝরে যায় শত শত তরুণ ও নবীণের প্রাণ। জনতার রোষের মুখে হাসিনা যেদিন ক্ষমতা ছাড়েন সেদিনও প্রাণ যায় আরও শতাধিক মানুষের।