শিরোনাম
খাদ্র ও ত্রাণ সামগ্রী প্রবেশের জন্য গাজার দক্ষিণাঞ্চলে কৌশলগত বিরতি ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিশেষ ইউনিট কো অর্ডিনেটর অব গভর্নমেন্ট অ্যাক্টিভিটিজ ইন দ্য টেরিটোরিজ (কোগাট) রোববার এক বার্তায় নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা সেই বার্তায় কোগাট বলেছে, ‘গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বাড়ানোর জন্য জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে কৌশলগত বিরতি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। সে সিদ্ধান্ত অনুসারে, এখন থেকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত সামরিক তৎপরতা বন্ধ থাকবে। এই সময়সীমায় কেরেম শালম ক্রসিং দিয়ে গাজায় খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী প্রবেশ করতে পারবে। তারপর সেই ত্রাণ সামগ্রী সালাহ আল দীন সড়ক দিয়ে উপত্যকার বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছানো হবে।’
‘শনিবার থেকেই কৌশলগত এই বিরতি চালু হয়ে গেছে। গাজার সব এলাকায় ত্রাণ সরবারাহ পৌঁছে দিতে আমাদের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে এবং পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত এই আদেশ জারি থাকবে।’
ঘটনাচক্রে শনিবারই গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত শহর গাজায় সাঁজোয়া যান বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন ৮ জন ইসরায়েলি সেনা। বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ সম্পর্কে এখনও কিছু বলেনি আইডিএফ, তবে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস বলেছে, মাটিতে পোঁতা ল্যান্ড মাইনের বিস্ফোরণের শিকার হয়েছে ইসরায়েলি সাঁজোয়া যানটি।
গত মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে রাফায় অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। যে কেরেম শালম ক্রসিংয়ের নাম কোগাটের এক্সবার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে, সেটির অবস্থান রাফার কাছেই। রাফায়ও একটি সীমান্ত ক্রসিং রয়েছে। তবে রাফা ক্রসিং নামের সেই ক্রসিংটি মে মাসের অভিযান শুরুর সময় থেকে বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
এক্সবার্তায় কেবল গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ‘কৌশলগত’ বিরতির উল্লেখ করেছে ইসরায়েল; তবে গাজার এএফপি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আজ রোববার গাজায় কোথাও বোমাবর্ষণ বা গোলাগুলির ঘটনা ঘটেনি।
মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের অনেক অঞ্চলে ইসলাম ধর্মাবম্বীদের দ্বিতীয় উৎসব ঈদুল আজহা পালিত হচ্ছে রোববার। ফিলিস্তিনেও আজ ঈদ। তবে সেই ঈদের কোনো আমেজ গাজায় নেই।
সূত্র : এএফপি