শিরোনাম
ভারতের কেরালায় ভারি বর্ষণে বন্যা-ভূমিধসের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে রাজ্যের অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টির পর সৃষ্ট দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে রাজ্যটিতে প্রাণহানির সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে দু’টি বড় নদীবাঁধের লকগেট খোলার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে কেরালা প্রশাসন। ফলে পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
যে দু’টি বাঁধের পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে, তার মধ্যে একটি এশিয়ার বৃহত্তম খিলেন বাঁধ ইদ্দুকি। এটি পেরিয়ার নদীর ওপর নির্মিত। অন্যটি ইদামালায়ার বাঁধ। এই বাঁধটিও পেরিয়ারেরই একটি উপনদীর ওপর তৈরি করা হয়েছে।
ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে প্রাণহানির মধ্যেই বিদ্যমান পরিস্থিতিতে নিখোঁজদের উদ্ধারে কেরালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্যরা পূর্ণ শক্তি নিয়ে উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছেন। সোমবার তারা রাজ্যটির বিভিন্ন দুর্যোগপীড়িত স্থানে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন।
শুধু কেরালা নয়, সোমবার উত্তরাখণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, দিল্লিসহ ভারতের আরও ১০টি রাজ্যে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরাখণ্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি সংক্রান্ত দুর্ঘটনায় ১৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন দু’জন।
এছাড়া রোববার রাত থেকে সোমবার সারা দিন হওয়া টানা ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, উড়িষ্যা এবং উত্তরপ্রদেশ।