শিরোনাম
আফগানিস্তানে ক্ষমতার পালাবদল নিয়ে ভারতের অস্বস্তি কাটছেই না। একদিকে তালেবানের ওপর পাকিস্তানের প্রভাব, অন্যদিকে আফগানিস্তানে দিল্লির বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ এখন হুমকির মুখে। অর্থাৎ, শুধু রাজনৈতিক নয়, বরং অর্থনৈতিকভাবেও উদ্বেগ বেড়েছে দিল্লির। এমন বাস্তবতায় আফগানিস্তান ইস্যুতে আলোচনার জন্য পাকিস্তানসহ পাঁচ দেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত। আগামী মাসে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সোমবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
মূলত আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলোকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ের এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর মধ্যে পাকিস্তান ছাড়া বাকি দেশগুলো হচ্ছে চীন, রাশিয়া, ইরান ও তাজিকিস্তান। আগামী ১০ থেকে ১১ নভেম্বর এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকেই জাতিসংঘসহ নানা ফোরামে এ নিয়ে কথা বলেছে ভারত। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করে ৪৫ মিনিট ধরে কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ ইস্যুতে অন্য বিশ্বনেতাদের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। তবে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর আফগান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য ভারতের উদ্যোগে বৈঠক আহ্বানের ঘটনা এটিই প্রথম। এমনকি নতুন আফগান সরকারের ওপর যেই পাকিস্তানের প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন দিল্লি তাদেরও এতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, এই বৈঠকে আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারকে আমন্ত্রণ জানানোর কোনও পরিকল্পনা ভারতের নেই।
আফগানিস্তানের আগের সরকারের আমলে দেশটিতে অন্তত তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে ভারত। যে অর্থ দিয়ে তৈরি হয়েছে বাঁধ, রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে আফগান পার্লামেন্ট ভবন পর্যন্ত। এর মধ্য দিয়ে পাকিস্তানকে পাশ কাটিয়ে কৌশলগত কারণে দেশটিতে নিজের প্রভাব বাড়িয়েছিল দিল্লি। তবে কাবুলের ক্ষমতার পালাবদলে চিন্তার ভাঁজ পড়ে মোদি সরকারের কপালে। সেই উদ্বেগ কাটাতেই পাকিস্তানসহ আফগানিস্তানের প্রতিবেশীদের সঙ্গে বসতে চাইছে দিল্লি।