শিরোনাম
যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৪ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে যুদ্ধ থামাবেন না বলে মনে করছে ওয়াশিংটন।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তা এই কথা বলেছেন।
সাম্প্রতিক জরিপগুলোতে জনপ্রিয়তার দৌড়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হলে ট্রাম্পই জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।
অনেকে আশঙ্কা করছেন, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে ইউক্রেনের প্রতি পশ্চিমা সমর্থন কমে যেতে পারে। যুদ্ধের শুরু থেকেই কিয়েভকে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা দেওয়ার কঠোর সমালোচনা করে আসছেন এ রিপাবলিকান নেতা।
ব্রাসেলসে ন্যাটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, ইউক্রেনে আগামী বছর শান্তি ফেরার সম্ভাবনা নেই। এটি জানার পরেও কিয়েভের প্রতি সমর্থন দিচ্ছে ন্যাটো।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, আমার ধারণা, পুতিন আমাদের নির্বাচনের ফলাফল দেখার আগে (ইউক্রেনে) শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে দেবেন না।
এটি তার ব্যক্তিগত মতামত নাকি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ব্যাপারে অনেকেই একমত।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া। এরপর থেকে কিয়েভকে ব্যাপক সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে ইউক্রেনের জন্য অতিরিক্ত তহবিল বরাদ্দের প্রস্তাব আটকে দিয়েছে রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ।
সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি পুনর্নির্বাচিত হলে মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে দিতে পারবেন। এ অবস্থায় চলতি মাসের শুরুর দিকে তাকে স্বচক্ষে যুদ্ধ পরিস্থিতি দেখতে কিয়েভ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।