শিরোনাম
গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের অভিযান চালানো আল-শিফা হাসপাতালে অক্সিজেন ও পানি ফুরিয়ে গেছে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, সেখানে থাকা রোগীরা তৃষ্ণায় চিৎকার করছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এমন তথ্য জানান হাসপাতালটির পরিচালক আবু সালমিয়া।
আবু সালমিয়া বলেন, আল-শিফায় পরিস্থিতি চরম বিষাদময়। হাসপাতালটিতে ৬৫০ এর বেশি রোগী, ৫০০ মেডিকেল স্টাফ ও পাঁচ হাজার বাস্তুচ্যুত বাসিন্দা রয়েছেন। ইসরায়েলি ট্যাংক হাসপাতালের চারদিক ঘিরে রেখেছে। মাথার ওপর ড্রোন উড়ছে। ইসরায়েলি সেনারা বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো হাসপাতালে ভেতরে তল্লাশি চালিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলি সেনারা হাসপাতালটির প্রধান পানির সংযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কেউ এক ভবন থেকে আরেক ভবনে যেতে পারছি না। আমাদের সহকর্মীদের সঙ্গেও কোনোভাবে যোগাযোগ করতে পারছি না।
গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে পুরো মেডিকেল কমপ্লেক্সের দক্ষিণ দিকের প্রবেশপথে একটি অংশ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে সেনারা। হাসপাতালে শিশুদের জন্য কোনো খাবার, পানি ও দুধ নেই। তাছাড়া বিদ্যুতের অভাবে ইনকিউবেটরগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অপরিপক্ব নবজাতকদের মৃত্যু হতে পারে। যদিও তাদের উষ্ণ রাখতে বিকল্প উপায় অবলম্বন করছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতালের ভেতরে আটকেপড়া একজন সাংবাদিক বিবিসির রুশদি আবু আলৌফকে ফোনে জানান, ইসরায়েলি সৈন্যদের সব জায়গায় দেখা যাচ্ছে ও তারা সব দিক থেকে গুলি করছে। তবে বিবিসি নিরপেক্ষভাবে এর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
গত বুধবার থেকে সেখানে অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তারা বলছে, হামাসের বিরুদ্ধে বিচক্ষণতার সঙ্গে পদ্ধতিগত ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অভিযান চালানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার তারা সেখানে হামাসের টানেলের একটি সুরঙ্গের সন্ধান পাওয়ার দাবি করে। একই সঙ্গে অস্ত্রবোঝাই একটি গাড়ি পাওয়ার কথাও জানায় তারা।
সূত্র: বিবিসি