শিরোনাম
আন্দামান সাগরে রাশিয়া-মিয়ানমারের যৌথ মহড়ার পর আরব সাগরে যৌথ মহড়া শুরু করেছে চীন-পাকিস্তান। শনিবার (১১ নভেম্বর) করাচির একটি নৌঘাঁটি থেকে এ মহড়া শুরু হয়। ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত আরব সাগরের উত্তরাংশে নৌ ও আকাশপথে এ মহড়া চলবে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ঠিক যখন ভারত-যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা সহযোগিতার বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, তখনই প্রথমবারের মতো আরব সাগরে যৌথ টহল দিচ্ছে চীন ও পাকিস্তানের নৌবাহিনী।
এর আগে গত ৭-৯ নভেম্বর পর্যন্ত আন্দামান সাগরে যৌথ মহড়া চালায় রাশিয়া ও মিয়ানমার। এর মাধ্যমে ভারত মহাসাগরে নিজেদের নৌবাহিনীর উপস্থিতি জোরদার করেছে রাশিয়া, যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে।
রাশিয়া-মিয়ানমার ও চীন-পাকিস্তানের এমন সামরিক ঐক্য প্রদর্শনের পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার (১০ নভেম্বর) ভারত সফর করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। টু প্লাস টু সংলাপে ভারতের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন তারা।
বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে নয়া দিল্লি-ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে বলা হয়, উন্মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় (ইন্দো-প্যাসিফিক) অঞ্চলের সুরক্ষা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে তারা। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক বহু পুরোনো। এরপরও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক জোরদার করেছে দিল্লি।
এদিকে, ভারতীয় নৌবাহিনীর সূত্র বলছে, চীনা জাহাজগুলো সর্বক্ষণ নজরদারি চালাচ্ছে। চীন আগে কখনো নিজেদের জলসীমার বাইরে যুদ্ধজাহাজ বা নজরদারি জাহাজ সচারচর পাঠাতো না। কিন্তু ২০০৮ সালে এডেন উপসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের উপদ্রব বাড়লে চীনের নৌবাহিনী ওই এলাকায় যাতায়াত শুরু করে।
ভারতীয় নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, সোমালিয়ান জলদস্যুদের মোকাবিলার জন্য এত বড় প্রতিরোধ ব্যবস্থার দরকার হয় না। চীনের মূল উদ্দেশ্য হলো এই অঞ্চলে নিজেদের জাহাজ ও নৌবাহিনীকে পরিচিত করার সুযোগ তৈরি করা।
ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্র বলছে, এ অঞ্চলের মহড়ায় প্রতিবার যুদ্ধজাহাজ পাঠায় না চীন। বরং নজর এড়াতে পর্যায়ক্রমে একবার সাধারণ জাহাজ ও আরেকবার সামরিক সাবমেরিন পাঠায় তারা। ২০১৭ সালে ভারত মহাসাগরে চীনা নৌবাহিনীর ১২টি বহর দেখা গিয়েছিল।
সূত্র: রয়টার্স