যৌন হয়রানির প্রতিবাদ, চাকরি খোয়ালেন অ্যাপলের নারী কর্মী

ফানাম নিউজ
  ১৭ অক্টোবর ২০২১, ১৩:২৬

মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল তাদের একজন নারী কর্মীকে বরখাস্ত করেছে। ওই কর্মী প্রাতিষ্ঠানিক যৌন হয়রানি ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। হয়রানি ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সবাইকে সংগঠিত করার ক্ষেত্রে নেতৃত্বও দিয়েছেন। গত শুক্রবার নিজেই তার চাকরি হারানোর কথা সিএনএনকে জানান।

চাকরিচ্যুত ওই কর্মীর নাম জেনেকে পারিস। অ্যাপলের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ছিলেন তিনি। যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া #মিটু আন্দোলনের মতো #অ্যাপলটু আন্দোলনের একজন সংগঠক ছিলেন পারিস। গত সপ্তাহে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। তাঁর শেষ কর্মদিবস ছিল গত বৃহস্পতিবার।

গত শুক্রবার সিএনএনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে পারিস বলেন, অ্যাপল তাঁকে জানিয়েছে যে অফিসের তথ্য গণমাধ্যমকে দেওয়ার অভিযোগে অভ্যন্তরীণ তদন্ত চলছে। তিনি কোম্পানির কাছে তাঁর ব্যবহৃত কম্পিউটার–ল্যাপটপ হস্তান্তরের আগে অনেক ফাইল মুছে ফেলেছেন। তাই তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

সাম্প্রতিক মাসগুলোয় অ্যাপলের কর্মীরা কোম্পানির ‘ঐতিহ্যবাহী’ গোপনীয়তার নীতি ভেঙে বিতর্কিতভাবে কর্মী নিয়োগ, মজুরি–অসমতা ও দূরবর্তী অফিসনীতি নিয়ে মুখ খোলেন। এ নিয়ে কর্মীদের সঙ্গে অ্যাপলের সম্পর্কের অবনতি হয়। দিন দিন তা আরও বেড়েছে। এর মধ্যে একজন কর্মীকে বরখাস্ত করার এ পদক্ষেপ নেওয়া হলো।

গত আগস্টে শের স্কারলেট নামে এক সহকর্মীকে নিয়ে #অ্যাপলটু শুরু করেন পারিস। তাঁদের ওয়েবসাইটে লেখা ‘নিজেদের সুরক্ষিত করার জন্য সংগঠিত করা’ই লক্ষ্য। এ জন্য বর্ণবাদ, যৌনতা, বৈষম্যসংক্রান্ত যেসব বিষয়ের মুখোমুখি হয়েছেন, তা জানাতে তাঁদের অন্য সহকর্মীদের আহ্বান জানান। এর মধ্য দিয়ে অ্যাপলে তাঁরা কী ধরনের পরিবর্তন চান, সেটা করার জন্য একটা রূপরেখা তৈরি করবেন বলে জানান। তাঁদের এ আহ্বানে সহকর্মীরা ব্যাপক সাড়া দেন।

পারিস গত শুক্রবার সিএনএনকে বলেন, এরপর থেকে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তাঁরা তাঁদের অন্য সহকর্মীদের কাছ থেকে শত শত অভিযোগ পেতে শুরু করেন। এর মধ্যে অফিসের অন্য সহকর্মীর কাছ থেকে যৌন ইঙ্গিতবহ আচরণ ও বয়স নিয়ে কটুকথা যেমন ছিল, তেমন ছিল ধর্ষণ ও আত্মহত্যার মতো আরও কিছু বিষয়।

পারিসকে বরখাস্ত করার ব্যাপারে অবশ্য নির্দিষ্ট করে কোনো মন্তব্য করেনি অ্যাপল কর্তৃপক্ষ। অ্যাপলে কর্মরত স্কারলেটও এ ব্যাপারে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।