শিরোনাম
তালেবানদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আফগানিস্তানে অপরাধীদের প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করেছে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি এবং পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানায়, দেশের সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তারা নির্দেশনা মানতে নির্দেশ দিয়েছে।
এনডিটিভি জানায়, বৃহস্পতিবার( ১৪ অক্টোবর) রাতে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মিটিংয়ের পর তালেবান মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, শাস্তি কার্যকর প্রকাশ্যে প্রদর্শনের প্রয়োজন নেই।
বিশেষ করে আদালত যতক্ষণ প্রকাশ্যে শাস্তি দেয়ার নির্দেশ না দেয়, ততক্ষণ কোনো মৃত্যুদণ্ড প্রকাশ্যে দেয়া যাবে না।তিনি আরো বলেন, সুপ্রিম কোর্ট যদি প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড ও লাশ ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ না দেয়, তাহলে এই শাস্তি এভাবে দেয়া যাবে না।
যেসব অপরাধীকে শাস্তি দেয়া হবে, তাদের অপরাধের বিষয়টি জনসমক্ষে ব্যাখ্যা করতে হবে, যাতে মানুষজন ওই অপরাধ সম্পর্কে সচেতন হতে পারে।
উল্লেখ্য গত সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হেরাতে বন্ধুকযুদ্ধে কথিত চার অপহরণকারীকে হত্যা পর তাদের লাশ প্রকাশ্যে ক্রেনে ঝুলিয়ে রেখে শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়েছে তালেবান।
ভয় দেখিয়ে অন্যদের এ ধরনের অপরাধ থেকে বিরত রাখতেই এমনটি করা হয়েছে বলে দাবি স্থানীয় এক সরকারি কর্মকর্তার। এ ঘটনার পর তালেবানের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে কঠোর সমালোচনা শুরু হয়।
সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার মধ্যদিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার ডাক দিলেও আতঙ্ক আর মধ্যযুগীয় কায়দায় শাসন পরিচালনা শুরু করেছে কট্টর এ গোষ্ঠীটি।
লাশ ঝুলিয়ে রাখা প্রশঙ্গে সে সময় হেরাতের ডেপুটি গভর্নর শের আহমেদ বলেন, এটা খুবই দুঃখের বিষয় যে আমরা হেরাতে থাকার পরও এখানকার লোকজন অপহরণের শিকার হচ্ছে।
তাই অন্য অপহরণকারীদের কাউকে অপহরণ বা হয়রানি না করতে এই শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। চুরি, অপহরণ বা আমাদের লোকজনের বিরুদ্ধে কিছু করলে শাস্তি পেতে হবে।
এর আগে বার্তা সংস্থা এপিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জ্যেষ্ঠ তালেবানের এক শীর্ষ নেতা বলেছিলেন, অপরাধ বন্ধে অঙ্গচ্ছেদ ও মৃত্যুদণ্ডের মতো শাস্তি বিধান আবার চালু করবে তালেবান।