শিরোনাম
ভেনেজুয়েলায় আগামী বছরের দ্বিতীয়ার্ধে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর এ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিষেধাজ্ঞার ভয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে সমঝোতার পথে হাঁটছে ভেনেজুয়েলার ক্ষমতাসীন দল। দেশটিতে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বিরোধী দলের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্বাক্ষর হয়। খবর রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার ভার কমানোর জন্য এমন সিদ্ধান্ত হলে তা প্রত্যাহার করা হয়নি। দেশটিতে আগামী বছরের দ্বিতীয়ার্ধে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা অংশগ্রহণ করবেন।
বিভিন্ন সূত্রের তথ্যমতে, নির্বাচনে বিরোধী দলগুলোকে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা দিলে ওপেক সদস্যভুক্ত দেশটির ওপর তেলের নিষেধাজ্ঞা কিছুটা কমানো হতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন বলছে, গণতান্ত্রিক পরিস্থিতিতে ছাড়ের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরের প্রশাসনের ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হতে পারে।
মঙ্গলবার এক সূত্রের বরাতে এমন দাবি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বারবাডোজে হোয়াইট হাউসের সাথে এ চুক্তি চূড়ান্ত করা হয়েছে। যদিও এমন দাবি করা হলেও আসলে নিষেধাজ্ঞা কতটা শিথিল করা হবে বা আসলেই কেমন কি হবে তা স্পষ্ট হওয়া যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ব্রিটেন ও কানাডা এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, বারবাডোজে ভেনেজুয়েলার বিরোধী দলের সঙ্গে হওয়া চুক্তিকে আমরা স্বাগত জানাই। দেশটিতে গণতান্ত্রিক পরিস্থিতির বেশ কিছুটা উত্তরণ ঘটেছে।
যৌথ এ বিবৃতিতে রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি, নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর এ আহ্বান জানানো হয়েছে। এ চুক্তিতে এসব বিষয় এখনো অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
যাই হোক, বিবৃতিতে রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা, মঙ্গলবারের চুক্তিতে যে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল না সেগুলোর আহ্বানও পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, দীর্ঘ ১১ মাস পর ভেনেজুয়েলার সরকারি দল ও বিরোধী দলের মধ্যে নরওয়ের মধ্যস্থতায় বার্বাডোজে গতকাল বৈঠক হয়েছে। এতে উভয় পক্ষ নির্বাচনের ফল মেনে নিতে সম্মত হয়েছে। দেশটিতে দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য এ আলোচনা শুরু হয়েছে।