শান্তিতে নোবেল পেলেন ইরানের মানবাধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মদি

ফানাম নিউজ
  ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:৫৩

ইরানের কারাবন্দী মানবাধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মদি এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।

শুক্রবার (৬ অক্টোবর) নরওয়ের অসলোতে এক সংবাদ সম্মেলনে নোবেল কমিটি এই পুরস্কার ঘোষণা করেছে। নোবেল কমিটি বলেছে, ইরানে নারীদের নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই, মানবাধিকার সমুন্নত রাখা ও সবার অধিকার নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখায় নার্গিস শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন।

এএফপির খবরে জানা যায়, ৫১ বছর বয়সী নার্গিস মোহাম্মদি সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী। নারীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক করা ও মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে কাজ করায় তাঁকে বেশির ভাগ সময় কারাগারে থাকতে হয়েছে। তাঁকে ১৩ বার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাঁচবার দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এমনকি শরিয়া আইন অনুসারে ১৫৪ বার বেত্রাঘাত করা হয়েছে।

নার্গিস ইরানের মানবাধিকার কর্মীদের সামনের সারির একজন। তিনি নারী অধিকার রক্ষা ও মৃত্যুদণ্ড বন্ধের জন্য কাজ করেছেন।

নার্গিস তেহরানের ইভিন কারাগারে বন্দী রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী প্রচার চালানোসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।

২০০৩ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী শিরিন এবাদির ডিফেন্ডারস অফ হিউম্যান রাইটস সেন্টারে ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে রয়েছেন নার্গিস। নার্গিসকে নিয়ে এ পর্যন্ত ১৯ জন নারী নোবেল পুরস্কার পেলেন।

পুরস্কারের ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা (১০ লাখ ডলার) পাবেন এই মানবাধিকারকর্মী।

বৃহস্পতিবার সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন নরওয়ের লেখক ও নাট্যকার ইয়োন ফসে। তার আগে গতকাল বুধবার ন্যানো প্রযুক্তির অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখার জন্য রসায়নে নোবেল পুরস্কারের জন্য তিন বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করা হয়। তাঁরা হলেন আলেক্সি ইয়াকিমভ, মুঙ্গি বাওয়েন্ডি ও লুই ব্রুস।

তার আগের দিন পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান পিয়ের আগোস্তিনি, ফেরেন্স ক্রাউজ ও অ্যান লিয়ের। এই বিজ্ঞানীরা অতি ক্ষুদ্র সময়ে অ্যাটোসেকেন্ডে আলোকতরঙ্গের স্পন্দন তৈরির পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। তাঁদের এ গবেষণা আরও দ্রুতগতির ইলেকট্রনিকস ও রোগনির্ণয় পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আর করোনার এমআরএনএ টিকা তৈরিতে ভূমিকার জন্য চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছেন দুই গবেষক ক্যাটালিন ক্যারিকো ও ড্রিউ ওয়েইসম্যান। ৯ অক্টোবর অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।

নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল। তাঁর ইচ্ছা অনুসারে প্রতিবছর চিকিৎসা, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। গবেষণা, উদ্ভাবন ও মানবতার কল্যাণে যাঁরা অবদান রাখেন, তাঁরা পান বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার।