ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে ভূমিকম্পে নিহত হয়েছেন অন্তত তিনজন। এতে সাতজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শনিবার (১৬ অক্টোবর) আঘাত হানা ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার ভোরের দিকে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের পর বেশ কয়েকটি আফটার শকও অনুভূত হয়েছে। বালির বন্দর শহর সিংগারাজা থেকে ৬২ কিলোমিটার (৩৮.৫ মাইল) উত্তরপূর্বাঞ্চলে ছিল ভূমিকম্পটির কেন্দ্র। এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার (৬.২ মাইল)। ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বালি দ্বীপের তল্লাশি ও উদ্ধার এজেন্সির প্রধান গেড ডারমাডা বলেন, ‘এখনও ক্ষয়ক্ষতি এবং হতাহতের তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করে যাচ্ছি। দুর্ঘটনায় অনেকের হাড় ভেঙে গেছে, আবার কারও মাথায় আঘাত লেগেছে।’

জানা গেছে, ভূমিকম্পে একটি পাহাড়ি জেলায় ভূমিধসে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই অঞ্চলের কমপক্ষে তিনটি গ্রামে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ ছাড়া ভূমিকম্পের উপকেন্দ্রের কাছে কারাংগাসেমে বেশ কিছু বাড়ি এবং মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই এলাকায় ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারিয়েছে তিন বছর বয়সী এক শিশু।

কারাংগাসেমের বুঙ্গা গ্রামের প্রধান কেরতাওয়া জানান, ওই গ্রামের প্রায় ৬০ শতাংশ বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বালি দ্বীপে বসবাস করে ৪০ লাখের বেশি মানুষ।

এক বছরের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর গত বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের জন্য খুলে দেওয়া হয় বালি দ্বীপ। করোনার কারণে বালির আন্তর্জাতিক ফ্লাইট দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল।

উল্লেখ্য, এর আগে গত জানুয়ারিতে ভূমিকম্পে ইন্দোনেশিয়ায় কমপক্ষে ১০৫ জন নিহত হয়েছিল। ৬ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পে আরও সাড়ে ছয় হাজার মানুষ আহত হয়। এতে পশ্চিম সুলাওয়েশি প্রদেশের মামুজু এবং মাজেনা জেলায় ৯২ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ে।

সূত্র : আল জাজিরা