মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ‘চীনপন্থী’ মুইজ্জুর জয়

ফানাম নিউজ
  ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০২:৫৭

মালদ্বীপে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোটে জয়ী হয়েছেন ‘চীনপন্থী’ হিসেবে পরিচিত বিরোধী দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের (পিএনএস) মোহামেদ মুইজ্জু।

শনিবার রাতে ভোটের ফলাফল গণনা শেষে এক্সে (সাবেক টুইটার) পরাজয় স্বীকার করেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট মালদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টির (এমডিপি) ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ। একইসঙ্গে মোহামেদ মুইজ্জুকে অভিবাদন জানিয়েছেন তিনি।

মালদ্বীপে প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া এ দুই প্রার্থীর মধ্যে শনিবার দ্বিতীয় দফার ভোট হয়। দ্বিতীয় দফায় মোহামেদ মুইজ্জু পেয়েছেন ৫৪ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ ভোট।

আগামী ১৭ নভেম্বর দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন তিনি। এর আগ পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন মোহাম্মদ সলিহ।

দেশটির নিয়ম অনুযায়ী ভোটে কোনো প্রার্থী একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা (৫০ শতাংশের বেশি ভোট) না পেলে নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়ায়। সেক্ষেত্রে নির্বাচনে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী প্রার্থীর মধ্যে শনিবার দ্বিতীয়বার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। প্রথম দফার নির্বাচনে মুইজ্জু পেয়েছিলেন ৪৬ শতাংশ ভোট। আর সলিহ ৩৯ শতাংশ।

শনিবার স্থানীয় সময় সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত।

উল্লেখ্য, চীন–ভারতের শক্তিমত্তার খেলার ছায়ায় অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে মোহাম্মদ সলিহ (৬১) জয়ী হলে দ্বীপ দেশটিতে নয়াদিল্লির প্রভাব বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।সলিহর সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক ভালো। অপরদিকে মোহামেদ মুইজ্জু (৪৫) চীনপন্থী হিসেবে পরিচিত।

মালদ্বীপ ভারত মহাসাগরের মাঝখানে একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আছে। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্য দিয়ে যে জাহাজ চলাচলের রুট বা শিপিং লাইনগুলো আছে, তার মাঝামাঝি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে মালদ্বীপ। তাই দেশটিতে নিজেদের উপস্থিতি বাড়াতে ভারত ও চীন প্রবল চেষ্টা চালাচ্ছে।

মুইজ্জুর দল চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড অবকাঠামো কর্মসূচি থেকে বড় ধরনের আর্থিক সুবিধা নিতে আগ্রহী। সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিনও ছিলেন চীনঘেঁষা। তিনি মালদ্বীপে নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ভারতকে প্রত্যাখ্যান করে চীনের কাছ থেকে প্রচুর ঋণ নিয়েছিলেন।