শিরোনাম
ভারতের কেরালায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে নিপা ভাইরাস। আক্রান্তদের প্রায় সবাই রাজ্যের কোঝিকোড় জেলার বাসিন্দা।
সংক্রমণ ঠেকাতে ওই জেলার সাতটি গ্রামকে কনটেনমেন্ট জোন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বেশ কিছু স্কুল।খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ জানিয়েছেন, নিপা ভাইরাসের সংক্রমণের হার কম হলেও মৃত্যুহার অনেক বেশি। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিধানসভায় সিপিআই বিধায়ক পি বালাচন্দ্রনের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, নিপা ভাইরাসের ‘বাংলাদেশ’ নামক যে ভ্যারিয়েন্ট কেরালায় আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছে, তা মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হচ্ছে।
নিপা ভাইরাসে আক্রান্তদের নমুনা সংগ্রহ এবং তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য কোঝিকোড় মেডিকেল কলেজে একটি ভ্রাম্যমান পরীক্ষাগার তৈরি করছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি (এনআইভি)।
বুধবার সকালেই এনআইভির একটি দল পুণে থেকে কোঝিকোড়ে পৌঁছায়। মন্ত্রী জানিয়েছেন, বিশেষজ্ঞদের একটি দল চেন্নাই থেকে বুধবারই কেরালায় এসেছে। এর পাশাপাশি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চও নিপা আক্রান্তদের রোগ প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি দিয়ে সাহায্য করতে চেয়েছে বলে বিধানসভায় জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
অন্য দিকে, এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ইতিমধ্যেই কোঝিকোড়ে একটি কন্ট্রোল রুম খুলেছে কেরালার সরকার।
গোটা পরিস্থিতিতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজ্যবাসীকে অনুরোধ করেছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।তিনি বলেন, এখনই আতঙ্কিত হবার কোনও কারণ নেই। মৃত দু’জনের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের সন্ধান মিলেছে। তাদের চিকিৎসাও শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় সতর্ক থাকাটা জরুরি। এই ভাইরাসের মোকাবিলায় স্বাস্থ্য দপ্তর যে রূপরেখা তৈরি করেছে, তা মেনে চলার জন্য সকলের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।
২০১৮ সালে এই ভাইরাসে দুই জেলায় ১৭ জনের মৃত্যু হয়। সেই সঙ্গে ১৮ জন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল।
২০২১ সালেও এই ভাইরাস দেখা দেয় দু’জেলায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, মানবদেহের পাশাপাশি পশুপাখিদের মধ্যে সংক্রমণ ঘটাতে পারে নিপা ভাইরাস।
আক্রান্তদের মধ্যে সাধারণত জ্বর, পেশির ব্যথা, মাথাধরা, ঝিমুনি এবং বমি বমি ভাবের উপসর্গ দেখা দেয়।