শিরোনাম
সূর্যের কক্ষপথে পরিভ্রমণ ও এ সংক্রান্ত তথ্যের জন্য রওনা হয়েছে ভারতীয় নভোযান আদিত্য-এল ১। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বেলা ১২টার দিকে অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটা শহরের লঞ্চপ্যাড থেকে নভোযানটি উৎক্ষেপণ করা হয়। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথমবারের মতো সফলভাবে চন্দ্রযান পাঠানোর কয়েক দিন পরই সূর্যের দিকে নজর দিয়েছে ভারত।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, আদিত্য-এল ১ নামের মহাকাশযানটি আজ ভারতীয় সময় বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে শ্রীহরিকোটার লঞ্চ প্যাড থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এটিকে পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যবর্তী এল-১ পয়েন্টে একটি কক্ষপথে স্থাপন করা হবে। এই পয়েন্টের দূরত্ব পৃথিবী থেকে ১৫ লাখ কিলোমিটার, যা পৃথিবী ও সূর্যের দূরত্বের এক ভাগ। আর এই দূরত্ব অতিক্রম করতে মহাকাশযানটির চার মাস সময় লাগবে।
ইসরো জানিয়েছে, একবার মহাকাশযানটি উড্ডয়ন করলে এল-১ পয়েন্টের দিকে উৎক্ষেপণের আগে বেশ কয়েকবার পৃথিবীর চারপাশে প্রদিক্ষণ করবে।
সংস্থাটি বলছে, এই কক্ষপথের সুবিধা হলো, সেখান থেকে কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই সব সময় সূর্যের বিভিন্ন কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করা যাবে। এ ছাড়া মহাকাশের পরিবেশের ওপর সূর্যের প্রভাব সম্পর্কেও জানতে পারবে মানুষ।
এবারের সূর্য অভিযানে কত টাকা খরচ হচ্ছে সে সম্পর্কে কিছু জানায়নি ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা। তবে দেশটির গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, এবারের মিশনে ৪ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার খরচ হবে।
গত ২৩ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মাটিতে সফলভাবে অবতরণ করে ভারতের চন্দ্রযান-৩। এর আগে এ অঞ্চলের বিষয়ে অজানা ছিল মানুষের। তবে এটি সেখানে সফলভাবে অবতরণ করায় গবেষণায় নতুন দ্বার খুলবে বলে আশা ভারতীয় বিজ্ঞানীদের।
এর আগে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মহাকাশযান চাঁদের মাটি স্পর্শ করেছে। গত মাসে এ তালিকায় চতুর্থ দেশ হিসেবে নিজেদের নাম যোগ করেছে ভারত। আর এবার আদিত্য-এল ১ অভিযান সফল হলে সূর্যে মহাকাশযান পাঠানো জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে নিজেদের নাম যুক্ত করতে পারবে ভারত।