শিরোনাম
মিশরীয় ধনকুবের মোহাম্মদ আল ফায়েদ মারা গেছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। ৯৪ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এই সাবেক হ্যারডসের প্রধানের ছেলে দোদি আল ফায়েদ প্রিন্সেস ডায়ানার সঙ্গে গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত হন। কেউ কেউ দোদিকে ডায়ানার ‘প্রেমিক’ বলে উল্লেখ করলেও তারা কেউই মৃত্যুর আগে এ বিষয়টি পরিষ্কার করে কিছু জানাননি।
১৯৭০ সালে যুক্তরাজ্যে বসবাস শুরু করেন মোহাম্মদ আল ফায়েদ। তার আগে মধ্যপ্রাচ্যে বিশাল ব্যবসায়ীক সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন মিশরে জন্মগ্রহণ করা এই ধনাঢ্য ব্যক্তি। একদিন পরেই দোদি ও ডায়ানার ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। তার একদিন আগেই আল ফায়েদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করলো তার পরিবার।
গত এক দশকে আল ফায়েদকে নিয়ে তেমন একটা আলোচনা দেখা যায়নি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে সুরি প্রাসাদে ছিলেন।
শুক্রবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, মোহাম্মদ আল ফায়েদের স্ত্রী, তার সন্তান এবং নাতি-নাতনিরা নিশ্চিত করছেন চান যে, তাদের এই প্রিয় মানুষটি মারা গেছেন। প্রিয়জনদের নিয়ে তিনি বেশ সুখীময় জীবন উপভোগ করেছেন বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।
ডায়ানার সঙ্গে প্যারিসে একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় ছেলের মৃত্যুর পর ভেঙে পড়েছিলেন লন্ডনের হ্যারডস ডিপার্টমেন্টাল স্টোর এবং ফুলহাম ফুটবল ক্লাবের প্রাক্তন মালিক আল ফায়েদ। তিনি তার ছেলে এবং ডায়ানার মৃত্যুর জন্য ব্রিটেনের রাজপরিবারকেই দায়ী করে আসছিলেন।
তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন যে, দোদি এবং ডায়ানা রাজপরিবারের ষড়যন্ত্রের শিকার। তার দাবি ছিল, রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী প্রিন্স ফিলিপের নির্দেশেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। কারণ ডায়ানা একজন মিশরীয়র (দোদি) সঙ্গে প্রেম করছিলেন যা রাজপরিবার মেনে নিতে পারেনি।
তিনি এমনটাও দাবি করেছিলেন যে, ডায়ানার গর্ভে দোদির সন্তান বেড়ে উঠছিল। পরবর্তীতে ডায়ানার সঙ্গে দোদির বিয়ে হতে পারে এমন আশঙ্কা করেই রাজপরিবার এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। রাজপরিবার চায়নি যে, ডায়ানা কোনো মুসলিমকে বিয়ে করুক। ছেলে এবং ডায়ানার মৃত্যুর ঘটনায় ১০ বছর ধরে আইনি লড়াই চালিয়েছিলেন এই ধনকুবের ব্যবসায়ী। কিন্তু ডায়ানার মৃত্যু আজও এক রহস্যই রয়ে গেছে।