গ্রিসে তিন অভিযানে উদ্ধার ৮৯ অভিবাসনপ্রত্যাশী

ফানাম নিউজ
  ১২ আগস্ট ২০২৩, ০০:৫১

গ্রিসের মূল ভূখণ্ড থেকে বেশ দূরের জনবসতিহীন দ্বীপে নোঙর করা পালতোলা একটি নৌকা থেকে ৫২ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে দেশটির উপকূলরক্ষীরা। মঙ্গলবার দেশটির উপকূলরক্ষীদের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

কোস্টগার্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফ্যালকোনেরা নামের একটি ছোট দ্বীপে অভিবাসীবোঝাই পালতোলা নৌকাটিকে প্রথম দেখতে পায় একটি ব্যক্তিগত জাহাজ। ওই দ্বীপটি গ্রিসের মিলোস ও পেলোপোনিসের মধ্যে অবস্থিত। প্রবল স্রোত এবং সমুদ্রের রুক্ষতার জন্য ওই এলাকাটি বহুল পরিচিত।

মঙ্গলবার উপকূলরক্ষীদের জাহাজের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর রাজধানী এথেন্সের দক্ষিণ-পূর্বের মূল ভূখণ্ড লাভরিওতে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের।

একইদিনে, পৃথক আরেকটি অভিযানে দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থায় আরও ১৯ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এজিয়ান সাগরের পূর্ব দিকের দ্বীপ সামোসের উত্তর-পূর্ব দিক থেকে উদ্ধার করা হয় তাদের।

সোমবার লেসবস দ্বীপ থেকেও ১৪ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করে গ্রিক উপকূলরক্ষীরা। পরদিনও একই দ্বীপ থেকে আরও ১৮ জনকে উদ্ধার করে তারা।

গত জুনে ভূমধ্যসাগরের সবচেয়ে গভীর অঞ্চলে আনুমানিক ৭৫০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী নিয়ে ডুবে যায় একটি নৌকা। এটি লিবিয়া থেকে ইতালির দিকে যাচ্ছিল। সেই ঘটনায়, ১০৪ জনকে জীবিত উদ্ধার সম্ভব হয়েছিল। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে ৮২টি। কিন্তু শত শত মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন। যাদের আর বেঁচে ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। ওই ঘটনায়, ঠিক সময়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা না করায় সমালোচনার মুখে পড়ে গ্রিস।

সম্প্রতি, অনিয়মিতপথে অভিবাসনপ্রত্যাশী আগমন বেড়েছে বলেও জানিয়েছে গ্রিস। কয়েক দশক ধরে, সংঘাত ও দারিদ্র্য থেকে পালিয়ে আসা মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং এশিয়ায় নাগরিকদের কাছে ইউরোপীয় ইউনিয়নে অভিবাসনের অন্যতম পছন্দের পথ গ্রিস। দেশটির পূর্ব দ্বীপগুলো তুরস্কের কাছে হওয়ার কারণে, এটি ছিল প্রধান প্রবেশপথ। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনিয়মিত অভিবাসনের প্রতি সরকারের কঠোর নীতি নেওয়ায়, আগমনের হার কমেছে।

অনিয়মিত অভিবাসন ঠেকাতে গিয়েও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে দেশটিকে। আশ্রয়প্রার্থীদের আশ্রয় চাওয়ার সুযোগ না দিয়ে তাদের ডিপোর্ট বা জোর করে ফেরত পাঠানোর চর্চার জন্য অধিকার সংস্থাগুলো বরাবরই গ্রিসের সমালোচনা করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমে নিউইয়র্ক টাইমস এ সংক্রান্ত একটি ভিডিওচিত্রও প্রকাশ করেছে। তারপরেও, অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে গ্রিস।