শিরোনাম
মানহানি মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ড স্থগিত হবার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই পার্লামেন্ট সদস্যের পদ ফিরে পেয়ে ফের আলোচনায় ভারতের বিরোধীদল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার সাজা স্থগিত করার পরই এই কংগ্রেস নেতার লোকসভার সদস্য পদ ফিরিয়ে দেন স্পিকার ওম বিড়লা। খবর আনন্দবাজার ও এনডিটিভির।
তথ্যসূত্র বলছে, ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পদবি নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে করা মানহানির মামলায় সুরাটের দায়রা আদালত রাহুলকে এই দণ্ড দিয়েছিল। মণিপুরে সহিংসতা এবং ধর্ষণ ইস্যুতে লোকসভায় মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে আনাস্থা প্রস্তাব তুলবেন বিরোধীরা।
সেক্ষেত্রে লোকসভা ভোটের আগে ‘মোদি বনাম রাহুল’ লড়াই নতুন মাত্রা পাবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন। আনুষ্ঠানিক ভাবে বিরোধী জোটের ‘প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী’ হিসাবে রাহুলের নাম ঘোষিত হয়নি। কিন্তু শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এবং তার পরে সংসদে রাহুলের প্রত্যাবর্তন জাতীয় স্তরে মোদির ‘বিকল্প’ হিসাবে রাহুলের নাম আলোচনায় এনে দিল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ধারণা করা হচ্ছে, এদিন পার্লামেন্টে উপস্থিত হয়ে শক্ত ভূমিকা রাখতে দেখা যাবে রাহুল গান্ধীকে। কেরালার ওয়েনাড থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য রাহুল গান্ধী এখন মোদিকে ‘চ্যালেঞ্জ’ জানিয়ে বসতে পারেন।
অবশ্য বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব আনলেও মোদী সরকারের পতনের বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা নেই। কারণ, ৫৪৩ সাংসদের লোকসভায় সরকারের পতন ঘটানোর জন্য প্রয়োজন ২৭২ সাংসদের সমর্থন। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সাংসদ সংখ্যা ৩৩২। এই আবহে রাহুলের বক্তৃতা নিয়ে প্রবল কৌতূহল তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্ণাটকে এক জনসভায় পলাতক ব্যবসায়ী নিরব মোদি ও ললিত মোদির সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির নামের মিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছিলেন রাহুল। তিনি বলেছিলেন, সব চোরের পদবি মোদি হয় কী করে?
বিষয়টি মানতে পারেননি ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বিধায়ক ও গুজরাটের সাবেক মন্ত্রী পুর্নেশ মোদি। তিনি রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন।
চলতি বছরের মার্চে গুজরাটের আদালত রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করে দণ্ড দেন। পরে তিনি সুপ্রিম কোর্টে সাজা স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছিলেন। পরবর্তীতে শুক্রবার সাজা স্থগিত করেন সুপ্রিম কোর্ট।
এরপর গতকাল সোমবার দুপুরে লোকসভার স্পিকারের সচিবালয় থেকে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘যেহেতু রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করার সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আদালত, তাই আপাতত তাঁর সাংসদ পদ খারিজের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হলো।’’
ওই বিবৃতির পরেই সংসদে বিরোধীরা আনন্দ উদ্যাপন করেন। কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীকে দেখা যায়, কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে মিষ্টিমুখ করাতে।