শিরোনাম
ছাড়া পাচ্ছেন না মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি। কেবল তার বিরুদ্ধে ওঠা কিছু অভিযোগের দণ্ড ক্ষমা করেছে সামরিক সরকার। ফলে আগামী দিনগুলোও কারাগারেই কাটাতে হবে নোবেলজয়ী এ নেত্রীকে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের খবরে বলা হয়েছে, সু চির বিরুদ্ধে ওঠা ১৯টি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটির দণ্ড ক্ষমা করা হয়েছে। একইভাবে, দক্ষিণপূর্ব এশীয় দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টেরও কিছু সাজা ক্ষমা করা হয়েছে।
মিয়ানমার জান্তা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই পদক্ষেপটি একটি বৃহত্তর সাধারণ ক্ষমার অংশ, যেখানে হাজার হাজার বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।
মিয়ানমারে বন্দিদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা নতুন নয়। তবে এই প্রথমবার তাতে সু চি এবং উইন মিন্টের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে জান্তা সরকার।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে এর আগে দাবি করা হয়েছিল, জান্তার সাধারণ ক্ষমায় মুক্তি পেয়েছেন অং সান সু চি এবং উইন মিন্ট। কিন্তু পরে সেই তথ্য সঠিক নয় বলে জানানো হয়।
বিবিসি জানিয়েছে, যে পাঁচটি অপরাধে সু চিকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছে, তাতে ছয় বছরের দণ্ড কমেছে মাত্র।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। সে সময় সু চিসহ বেসামরিক সরকারের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর সু চির বিরুদ্ধে অন্তত ১৯টি অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিচার শুরু করে জান্তা সরকার। বিচারে মোট ৩৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত এ নেত্রীকে।
সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে গৃহবন্দি থাকলেও অং সান সু চিকে গত বছর রাজধানীর একটি নির্জন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। গত দুই বছর তার প্রায় কোনো খবরই পাওয়া যায়নি। তিনি অসুস্থ ছিলেন বলে গুঞ্জন শোনা গেলেও সামরিক বাহিনী এ তথ্য অস্বীকার করে। তবে গত সপ্তাহে সু চিকে আবারও কারাগার থেকে সরিয়ে রাজধানী নেপিদোতে গৃহবন্দি করা হয়েছে।