শিরোনাম
নারীদের পোশাকবিধি মেনে চলা এবং জনসমক্ষে চুল ঢেকে রাখা নিশ্চিত করতে ইরানের রাস্তায় আবারও টহল দিচ্ছে নৈতিকতা পুলিশ।
দেশটির এক মুখপাত্র জানান, ইরানের হিজাব আইন বাস্তবায়নে রবিবার (১৬ জুলাই) থেকে ফের টহলে নামবে নীতি পুলিশ। খবর বিবিসির।
গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর তেহরানে যথাযথ ভাবে হিজাব নিয়ম না মানায় মাসা আমিনি (২২) নামে এক কুর্দি তরুণীকে গ্রেপ্তার করে দেশটির নৈতিকতা পুলিশ। পরে পুলিশ হেফাজতে তার মৃত্যু হলে বিক্ষোভে ফুঁসে ওঠে গোটা ইরান। বিভিন্ন শহরে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় বিক্ষোভকারীদের। এতে অনেক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
দেশ জুড়ে এমন বিক্ষোভের পর নৈতিকতা পুলিশের টহল বিগত ১০ মাস ধরে বন্ধ রাখা হয়েছিল। রবিবার থেকে আবারও তৎপরতা শুরু করেছে বিশেষায়িত এই বাহিনী।
ইরানের শরিয়া আইন অনুযায়ী, নারীদের মাথা ও চুল ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক। তাদের এমন লম্বা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে, যাতে শরীরের গঠন বোঝা না যায়।
সাধারণত কোনো নারী যদি এ শরিয়া আইন মেনে না চলে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় নৈতিকতা পুলিশ। নারীরা যথাযথ ভাবে পোশাকবিধি মেনে না চললে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হয় ইরানে।
নৈতিকতা পুলিশ ইরানের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরই একটি অংশ। ধর্মীয় অনুশাসন ও ইসলামি নীতি-নৈতিকতা মা হচ্ছে কি-না, তা নিশ্চিত করাই পুলিশের এ ইউনিটের কাজ।
নৈতিকতা পুলিশের প্রতিটি ইউনিটে একটি করে ভ্যান আছে। এসব পুলিশভ্যানে নারী ও পুরুষ উভয় সদস্যরা থাকেন। তারা ব্যস্ত রাস্তা ও এলাকা টহল দেন। কখনো কখনো দাঁড়িয়ে থাকেন। কেউ যথাযথ পোশাক না পরলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।