শিরোনাম
দক্ষিণ কোরিয়ার চেওংজু এলাকার বন্যা কবলিত একটি টানেলে আটকা পড়া বাসের ভিতর থেকে রবিবার (১৬ জুলাই) ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধারকর্মীদের ধারণা, ৬৮৫ মিটার দীর্ঘ টানেলটিতে কমপক্ষে ১৫টি গাড়ি আটকা পড়ে আছে। এ নিয়ে টানা কয়েকদিনের তুমুল বর্ষণ আর বন্যায় দক্ষিণ কোরিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৩ জন। খবর রয়টার্স ও বিবিসির।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভারি বর্ষণে দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ভূমিধস এবং বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
দুর্গত এলাকাগুলো থেকে এ পর্যন্ত সাড়ে সাত হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছে ।
উত্তর চুংচেওং প্রদেশের বন্যা কবলিত চেওংজু টানেলে কত মানুষ আটকা পড়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। চেওংজু শহরের ওই টানেলটি হঠাৎ ঢলের কবলে পড়ে। এত দ্রুত সেটি জলমগ্ন হয়ে পড়ে যে, গাড়ি চালকরা সরে যাওয়ার সময় পাননি।
বেশিরভাগ প্রাণহানি ঘটেছে উত্তর গিয়ংসাংয়ের পার্বত্য অঞ্চলে, যেখানে ভূমিধসে বিলীন হয়ে গেছে বহু ঘরবাড়ি।
শনিবার দেশটিতে প্রায় ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এমনিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় সারা বছরে ১০০০ থেকে ১৮০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ হাজার হাজার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু সেনাবাহিনীকে উদ্ধার অভিযানে অংশ নিতে বলেছেন।
এর আগে শুক্রবার রাতে উত্তরের চুংচেং এলাকায় ভূমিধসের কারণে একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। তাতে একজন প্রকৌশলী আহত হন। ট্রেনে সে সময় কোনো যাত্রী না থাকায় বড় ধরনের প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার রেল পরিচালানাকারী কোম্পানি কোরাইল জানিয়েছে, বন্যার কারণে বহু ট্রেনের যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে।
আগামী বুধবার পর্যন্ত আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে দেশটির আবহাওয়া অফিস বলেছে, আবহাওয়ার পরিস্থিতি গুরুতর বিপদ ডেকে আনতে পারে।
গত ১৫ দিনে অতিবৃষ্টির কারণে ভারত, চীন, জাপান সহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে।