শিরোনাম
ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে রাতারাতি ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ লাম্পেদুসায় পৌঁছেছেন প্রায় ৭০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী। মোট ১৪টি নৌকায় করে দ্বীপটিতে পৌঁছান তারা। এ তথ্য জানিয়েছে ইতালির বার্তা সংস্থা আনসা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার রাতে কোনো উদ্ধার অভিযান ছাড়াই বেশকিছু নৌকা লাম্পেদুসায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। আর কোনো কোনো নৌকায় আসা অভিবাসীদের উপকূল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার সারাদিনে এক হাজার ২০০ জনেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী লাম্পেদুসায় এসে পৌঁছান। ফলে সব মিলিয়ে একদিনে দ্বীপটিতে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা প্রায় দুই হাজারে ঠেকেছে।
আনসা জানিয়েছে, ১৪টি নৌকার মধ্যে ১০টি নৌকা তিউনিশিয়ার স্ফ্যাক্স উপকূল ছেড়ে এসেছে। একটি নৌকা এসেছে তিউনিশিয়ার আরেক উপকূল কেরকেনা থেকে। অপর তিনটি নৌকা লিবিয়া থেকে ছেড়ে এসেছে।
তবে এই ৭০০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর জাতীয়তা সম্পর্কে এখনও কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তাদের সবাইকে দ্বীপের একটি অভ্যর্থনা শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ৪০০ জনের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন সেই আশ্রয়শিবিরে এখন উপচেপড়া ভিড়।
তিউনিশিয়ার স্ফ্যাক্স উপকূল থেকে লাম্পেদুসার দূরত্ব ১৯০ কিলোমিটার। এ কারণেই তিউনিশিয়ার উপকূল থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে ছেড়ে আসা নৌকাগুলো লাম্পেদুসা পৌঁছানোর চেষ্টা করে।
ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি বছর এ পর্যন্ত ৬১ হাজার ২০০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী নৌকা নিয়ে ইতালি পৌঁছেছেন। গত বছর একই সময়ে এই সংখ্যাটি ছিল ২৭ হাজার ৩০০। অভিবাসীদের উপচেপড়া ভিড় সামাল দিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে ইতালি।
ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর প্রচেষ্টায় প্রায়ই দুর্ঘটনার খবর আসে। সপ্তাহ দুয়েক আগে, লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে গ্রিস উপকূলে একটি মাছ ধরার নৌকা ডুবে যায়। এ দুর্ঘটনায় শত শত মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন বা মারা গেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এটি ভূমধ্যসাগরে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনায় রূপ নেবে।