শিরোনাম
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলো ইউক্রেনের সামরিক সহায়তা তহবিলে আরও ৩৫০ কোটি ইউরো (৩৮০ কোটি মার্কিন ডলার) যোগ করে মোট সহায়তার পরিমাণ ১ হাজার ২০০ কোটি ইউরোতে (প্রায় ১ হাজার ৩০০ ডলার) উন্নীত করতে রাজি হয়েছে।
ইইউ শান্তি সুবিধা (ইপিএফ) এরই মধ্যে ইউক্রেনের জন্য প্রায় ৪৫০ কোটি ইউরো বরাদ্দ দিয়েছে। ইইউয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেপ বোরেল বলেছেন, নতুন বরাদ্দের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, সশস্ত্র বাহিনীকে শক্ত সামরিক সহায়তা দিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল আমাদের রয়েছে। এটি ইইউ ও এর অংশীদারদের আরও শক্তিশালী করে তুলবে।
অনেকে বলছেন, ওয়াগনার বাহিনীর বিদ্রোহ সামাল দেওয়ার পর বেশ চাপে রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আর এ সুযোগেই যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা নেতারা ইউক্রেনকে যথাসম্ভব সবল করে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
গত শুক্রবার (২৩ জুন) দীর্ঘ দিনের মনোমালিণ্যের পরিপ্রেক্ষিতে রুশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে বসেন রাশিয়ার ভাড়াটে সৈন্য বাহিনীর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। তিনি অভিযোগ করেন, তার বাহিনীর ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে মস্কো। এর কঠিন প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
এক অডিওবার্তায় প্রিগোজিন ঘোষণা দেন, রুশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বকে ক্ষমতাচ্যুত করতে প্রয়োজনীয় সবকিছু করবেন তারা। আর এ পথে যারা-ই বাধা হয়ে দাঁড়াবে তাদের ধ্বংস করে দেওয়া হবে।
এর প্রতিক্রিয়ায় এমন ঘটনাকে ‘পিঠে ছুরিকাঘাত’ উল্লেখ করে বিদ্রোহীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ফলে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে আরও সহিংসতার দিকে এগিয়ে যেতে থাকে।
তবে শনিবার (২৪ জুন) ক্রেমলিনের সঙ্গে সমঝোতার পরিপ্রেক্ষিতে মস্কো অভিমুখে অভিযান বন্ধ করে পিছু হটে প্রিগোজিনের সৈন্যদল। এরই মধ্যে ভাড়াটে বাহিনীর সৈন্যরা রোস্তভ-অন-ডন শহরের সামরিক সদর দপ্তর ত্যাগ করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে ওয়াগনার সৈন্যদের শহর ছাড়তে দেখা যায়। তবে বর্তমানে প্রিগোজিন কোথায় রয়েছেন, তা এখনো জানা যায়নি।
সূত্র: আল জাজিরা