শিরোনাম
জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত রাষ্ট্রীয় গোপন নথিপত্র অনুমোদন ছাড়াই ফ্লোরিডার বাড়িতে নিয়ে অরক্ষিত স্থানে ফেলে রাখার জন্য সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনার পর শনিবার (১০ জুন) দুটো নির্বাচনী সভায় বিচারদপ্তরের কঠোর সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প।
তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের মূল কথা হলো স্পর্শকাতর বিভিন্ন সরকারি নথি নিয়ে হেলাফেলা করে তিনি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলেছেন এবং এ ঘটনার তদন্তে তিনি বাধা দিয়েছেন।
বরাবরের মতোই অস্বীকার করে ট্রাম্প বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ নিতান্তই ‘হাস্যকর’ ও ‘ভিত্তিহীন’।
মার্কিন বিচারদপ্তর ও কেন্দ্রীয়দপ্তরকে কঠোর ভাষায় আক্রমণ করে ট্রাম্প বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত এফবিআই ও বিচারদপ্তরের এসব অভিযোগ নির্বাচনে হস্তক্ষেপের শামিল।
২০২৪ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। মনে করা হচ্ছে, প্রার্থী নির্বাচনের দৌড়ে তিনিই এগিয়ে রয়েছেন।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি যুক্তরাষ্ট্রের গোপন পারমাণবিক অস্ত্র ও সামরিক পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন স্পর্শকাতর নথিপত্র তার ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোর বাড়িতে নিয়ে বাথরুম ও বলরুমের মতো অরক্ষিত জায়গায় রেখে দিয়েছিলেন।
এই প্রথম সাবেক কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকার অপরাধের মামলা করছে।
জর্জিয়া ও নর্থ ক্যারোলাইনায় শনিবার ঘন্টাখানেকেরও বেশি সময় ধরে তিনি ভাষণ দেন। সেসময় ট্রাম্প বলেন, বন্দুক তাক করা এফবিআই এজেন্টরা মার-এ-লাগোতে তল্লাশি চালায়।
জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে রিপাবলিকান দলের সম্মেলনের ভাষণে তিনি বলেন, তারা প্রতারণা করছে, তারা প্রতারক, দুর্নীতিবাজ এসব অপরাধীদের কোনোভাবেই পুরস্কৃত করা যাবেনা, তাদের হারাতে হবেই।
ট্রাম্প বলার চেষ্টা করেন বাইডেন সরকার তাকে রাজনৈতিকভাবে হেনস্থা করার চেষ্টা করেছে।