শিরোনাম
‘মালয়েশিয়ায় পরিবর্তন দরকার। যদি তা না হয়, তাহলে দেশটি টিকবে না। আর সংস্কারের মাধ্যমেই এ পরিবর্তন আনতে হবে।’ কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক সাপ্তাহিক অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।
শুক্রবার (৯ জুন) প্রচারিত ওই সাক্ষাতকারে আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, মালয়েশিয়ার কিছুটা অধপতন হয়েছে, তাই এর সংস্কার প্রয়োজন। আর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব যখন আমার, তখন ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটানোর দায়িত্বটাও আমার ওপর বর্তায়।
তার মতে, স্পষ্ট রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ও পরিবর্তনের সংকল্প না থাকলে, মালয়েশিয়া ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। সাক্ষাতকারে আনোয়ার ইব্রাহিম সংস্কারের ক্ষেত্রে ইতিবাচক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতিভিত্তিক রাষ্ট্র থেকে মালয়েশিয়াকে একটি প্রয়োজনমুখী রাষ্ট্রে পরিণত করার দৃঢ় প্রতিশ্রুতির কথাও তুলে ধরেন।
তার দাবি, দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত কিছু শক্তি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র করছে। তবে দেশের সংস্কারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতেও প্রতিশ্রুতবদ্ধ তিনি।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি ঐতিহ্যগতভাবে বহু-জাতিগোষ্ঠীর দেশ। ইব্রাহিম আনোয়ার মূলত মালয় ও অন্য জাতিগোষ্ঠীর দলের নেতা হিসেবে সরকার গড়লেও, তার ভিত্তি এখনো বেশ নাজুক। এর মূল কারণ হলো, মালয়েশিয়া বহু আগে থেকেই জাতিগত ও ধর্মীয়ভাবে বিভক্ত।
আনোয়ার ইব্রাহিমের দল পাকাতান হারাপান (অ্যালায়েন্স অব হোপ) সাবেক ক্ষমতাসীন জোট বারিসান ন্যাশনালসহ ছোট দলগুলোর সঙ্গে জোট গড়ে ক্ষমতায় এসেছে।
২০২২ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হন ৭৫ বছর বয়সী আনোয়ার ইব্রাহিম। আল জাজিরা বলছে, ক্ষমতায় আসার কিছুদিন পরেই তিনি বহুজাতিক মালয়েশিয়ার জটিল রাজনৈতিক ঘূর্ণিপাকে পড়ে যান।
সূত্র: আল জাজিরা