শিরোনাম
চীনের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেই নতুন বাণিজ্য চুক্তি সই করতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র-তাইওয়ান। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে তাইওয়ানের মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্ক আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানায়নি ওয়াশিংটন কিংবা তাইপে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র-তাইওয়ানের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তির তীব্র নিন্দা জানিয়েছে চীন। একইসঙ্গে বাণিজ্যের আড়ালে তাইপের সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা বন্ধ ও চুক্তি সই না করারও আহ্বান জানিয়েছে বেইজিং।
সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠেয় বৈশ্বিক নিরাপত্তা সম্মেলন শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে এ বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা এলো। তবে বাণিজ্য চুক্তিতে কোন কোন বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে, সে বিষয়েও স্পষ্ট কোনো ধারণা দেয়নি কোনো পক্ষ।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) এক বিবৃতিতে তাইওয়ানের বাণিজ্য পর্যালোচনা কর্তৃপক্ষ জানায়, ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের মধ্যে শিগগির একটি বাণিজ্য চুক্তি সই হবে। এতে মার্কিন উপ-বাণিজ্য প্রতিনিধি সারাহ বিয়াঞ্চি উপস্থিত থাকবেন। একবিংশ শতাব্দীতে যুক্তরাষ্ট্র-তাইওয়ান বাণিজ্য পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ চুক্তি হবে, যার আলোচনা শুরু হয়েছিল গত বছর।
এ বাণিজ্য চুক্তির ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের মধ্যে রপ্তানি আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে, দৃঢ় হবে তাদের বাণিজ্য সম্পর্ক। যদিও চীন-তাইওয়ান রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে স্বাভাবিক আছে বাণিজ্যিক কার্যক্রম। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির প্রভাব পড়বে বেইজিং-তাইপের বাণিজ্য সম্পর্কে।
গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত স্বনির্ভর দ্বীপ তাইওয়ানকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে বেইজিং। তবে তাইওয়ান চীনের এ দাবি বরাবরই অস্বীকার করে আসছে। অন্যদিকে, তাইওয়ানিজ নেতাদের সঙ্গে বিদেশি শীর্ষ নেতা ও কর্মকর্তাদের বৈঠকের তীব্র নিন্দা ও বিরোধিতা করে আসছে বেইজিং।
সূত্র: বিবিসি