সরকার গঠনে আত্মবিশ্বাসী থাইল্যান্ডের সংস্কারপন্থিরা

ফানাম নিউজ
  ২০ মে ২০২৩, ০৬:৩৯

থাইল্যান্ডের নির্বাচনে জয়ী হওয়া সংস্কারপন্থি দলের নেতা বলছেন, নতুন জোট সরকার গঠনের বিষয়ে তিনি পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী। পিটা লিমজারোয়েনরাত বলছেন, তার মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি অন্য সাতটি দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছে। ইতোমধ্যেই জোট দলগুলো ৩১৩টি আসনে ভোট পেয়েছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রায় এক দশক ধরে চলা সামরিক শাসন প্রত্যাখ্যান করতে যাচ্ছে দেশটির সাধারণ মানুষ। মুভ ফরোয়ার্ড পার্টিকে ভোট দিয়েছে ৩৬ শতাংশের বেশি ভোটার।

থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ৫০০টি নির্বাচিত আসন নিয়ে গঠিততবে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের ২৫০টি আসনের নিয়োগ দিয়ে থাকে দেশটির সেনাবাহিনী। সে কারণেই আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, সামরিক কর্মকর্তারা নতুন প্রশাসনকে হয়তো আটকে দিতে পারেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার জোটের নেতাদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পিটা লিমজারোয়েনরাত বলেন, আমরা সবকিছুকে আমাদের পেছনে ফেলে এসেছি। নির্বাচনে তার দল একক ভাবে ১৫২টি আসন পেয়েছে। অপরদিকে নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফেউ থাই দল একক ভাবে পেয়েছে ১৪১ আসন।

‘রিফরমিস্ট বা সংস্কারপন্থি পার্টি’ হিসেবে খ্যাতি লাভ করা দলটির নেতৃত্বে থাকা পিটা লিমজারোয়েনরাত একজন ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র। এরইমধ্যে তিনি থাইল্যান্ডের ক্যারিশম্যাটিক রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।

থাইল্যান্ডের কৃষি ও সমবায় মন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা পংসাক লিমজারোয়েনরাত ও লিন্ডা লিমজারোয়েনরাতের জ্যেষ্ঠ সন্তান হিসেবে ১৯৮০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর জন্ম নেন পিটা।

পিটা ব্যাংককের থাম্মাসাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফাইন্যান্স বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক পলিসিতে স্নাতকোত্তর এবং থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। প্রথম থাই নাগরিক হিসেবে ‘ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট স্কলারশিপ’ পেয়ে হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন পিটা লিমজারোয়েনরাত।

হাভার্ডের জন এফ. কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্ট থেকে পাবলিক পলিসি বিষয়ে স্নাতকত্তোর করেন তিনি। পরবর্তী সময়ে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) স্লোয়ান স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট থেকে বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশনেও স্নাতকত্তোর করেন পিটা।

রাজনীতিবিদ হিসেবে পিটা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রাউত চান-ওচার শাসনের তুখোড় সমালোচনা করেছেন। একই সঙ্গে প্রাউতের শাসনামলকে ‘হারানোর দশক’ হিসেবে আখ্যায়িত করে জনগণের কাছে নিজেকে ‘দিন বদলের দূত’ হিসেবে তুলে ধরেছেন ৪২ বছর বয়সী এ রাজনীতিবিদ।

রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগে পিটা মূলত ‘টিম পিটা’ নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি গ্র্যাব হোল্ডিং লিমিটেডের থাই ইউনিটের নির্বাহী পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। একটা সময় ঋণে জর্জরিত পারিবারিক মালিকানাধীন রাইস ব্র্যান অয়েল কোম্পানি টিকিয়ে রাখতে সংগ্রাম করতে হয়েছে তাকে।