অপহরণকারীকে গুলতি মেরে ছোট বোনকে বাঁচালো ১৩ বছরের বালক

ফানাম নিউজ
  ২০ মে ২০২৩, ০৬:২৫

ঘরে বসে ভিডিও গেম খেলছিল ১৩ বছরের বালক ওয়েন বার্নস। হঠাৎ বাইরে ছোটবোনের চিৎকার শুনতে পায়। ওয়েন প্রথমে ভেবেছিল, বোন হয়তো বন্ধুদের সঙ্গে খেলছে। কিন্তু দ্বিতীয়বার চিৎকার শুনে দ্রুত জানালার কাছে ছুটে যায় সে। গিয়ে দেখে, কেউ একজন তার আট বছর বয়সী বোনকে মুখ চেপে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।

এ অবস্থায় ১৩ বছরের একটি বালক কীই বা করতে পারে! কিন্তু ওয়েন চুপ করে বসে থাকার পাত্র নয়। সে হাতের কাছে থাকা গুলতি তুলে নেয়। তাতে মারবেল ও পাথর ভরে মারতে থাকে অপহরণকারীর দিকে। একের পর এক আঘাতে লোকটি দুর্বল হয়ে পড়লে পালিয়ে আসার সুযোগ পায় তার বোন।

স্কাই নিউজের খবর অনুসারে, গত ১০ মে শ্বাসরুদ্ধকর এই ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের আলপেনা শহরে।

স্থানীয় একটি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওয়েন বার্নস জানায়, ঘটনার দিন ঘরে বসে সে ভিডিও গেম খেলছিল। এসময় হঠাৎ বাইরে থেকে ছোটবোনের চিৎকারের শব্দ শুনতে পায়।

ওয়েন বলে, আমি ভেবেছিলাম সে বন্ধুদের সঙ্গে দুষ্টামি করছে। কিন্তু দ্বিতীয়বার চিৎকার শুনেই উঠে পড়ি। জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখি তাকে এক লোক তাকে অপহরণ করতে চাচ্ছে। আমি তো ভয় পেয়ে যাই!

‘তখন আমার গুলি তুলে নেই এবং জানালা খুলি। সঙ্গে দুটো জিনিস নেই- একটি মারবেল ও একটি পাথর অথবা অন্য কিছু।’

পুলিশ বলছে, ওয়েনের উপস্থিত বুদ্ধি তার বোনকে পালিয়ে আসার সুযোগ করে দেয় এবং সম্ভবত এটি তার জীবনও বাঁচিয়েছে।

১৩ বছরের এ বালকের কথায়, আমি খুবই ভাগ্যবান। সে (অপহরণকারী) অনেক বড় লক্ষ্যবস্তু ছিল, কোনো পেপসি ক্যানের মতো নয়।

পুলিশ জানিয়েছে, অপরাধী একজন ১৭ বছর বয়সী পুরুষ। তার মাথায় ও বুকে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে অপহরণচেষ্টা এবং অন্যান্য অভিযোগ আনা হয়েছে।

ঘটনার বর্ণনায় ওয়েন বলে, তার (বোন) মুখ বন্ধ করা ছিল এবং সে (অপহরণকারী) তাকে জড়িয়ে ধরে রেখেছিল। একপর্যায়ে আমার বোন তাকে লাথি মেরে দৌড় দেয়। তখন সে-ও পেছন পেছন দৌড়াতে থাকে।

সাহসী এ বালকের ভাষ্যমতে, সে সম্ভাব্য অপহরণকারীর মাথা ও বুকে তিনবার আঘাত করেছিল।

ওয়েন ও ছোট্ট মেয়েটির বাবা-মা অ্যান্ড্রু বার্নস এবং মার্গারেট বার্নস বলেছেন, এমন কিছু ঘটতে পারে জেনে তারা হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন।

অভিযুক্তের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ। তবে জানিয়েছে, তাকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবেই বিচারের মুখোমুখি করা হবে।