শিরোনাম
উত্তর কোরিয়ার হুমকি মোকাবিলায় ঐতিহাসিক একটি চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া। চুক্তি অনুসারে, দক্ষিণ কোরিয়ায় পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করবে যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তির পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইউল ঘোষণা দিয়েছেন, পিয়ংইয়ং পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করলে এর নেতৃত্বকে ‘শেষ’ করে দেওয়া হবে।
এর পরপরই উত্তর কোরিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে মিত্র চীন। ওয়াশিংটন ও সিউলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বেইজিং বলেছে, তারা যেন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ‘উসকানিমূলক সংঘর্ষ’ ডেকে না আনে।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, সব পক্ষেরই উচিত (কোরীয়) উপদ্বীপের সমস্যার মুখোমুখি হওয়া এবং সমস্যাটির শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য গঠনমূলক ভূমিকা পালন করা।
এসময় ‘ইচ্ছা করে উত্তেজনা ছড়ানো, সংঘর্ষের উসকানি ও হুমকি দেওয়া’ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে, ওয়াশিংটনে এক শীর্ষ সম্মেলনে বাইডেন এবং ইউন সুক ইউল স্পষ্ট করে বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার একনায়কতান্ত্রিক শাসক গোষ্ঠী যদি দক্ষিণ কোরিয়া বা যুক্তরাষ্ট্রে আক্রমণ করে, তবে তার প্রতিক্রিয়া হবে বিধ্বংসী।
বাইডেন বলেছেন, ‘ওয়াশিংটন ঘোষণা’ নামের এই চুক্তি উত্তর কোরিয়ার হামলা প্রতিহত করতে মিত্রদের সহযোগিতা জোরদার করবে।
চুক্তি অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ায় পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত সাবমেরিন মোতায়েন করবে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের যেকোনো পরিকল্পনায় সিউলকেও যুক্ত করবে ওয়াশিংটন। বিনিময়ে দক্ষিণ কোরিয়া কোনো ধরনের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করবে না বলে সম্মত হয়েছে।
পারমাণবিক অস্ত্রধর উত্তর কোরিয়ার ক্রমাগত ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মুখে দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য মার্কিন নিরাপত্তা ঢালকে আরও শক্তিশালী করা হবে বলে সম্মত হয়েছে উভয়পক্ষ।
তবে এ সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে বেইজিং বলেছে, ওয়াশিংটন ‘আঞ্চলিক নিরাপত্তা উপেক্ষা করে’ কোরীয় উপদ্বীপের ইস্যুটিকে কাজে লাগাতে চাচ্ছে।
মাওয়ের ভাষ্যমতে, পক্ষগুলোর মধ্যে সংঘর্ষের উসকানি দেওয়া, পারমাণবিক বিস্তার প্রতিরোধী ব্যবস্থা ও অন্যান্য দেশের কৌশলগত স্বার্থকে দুর্বল করছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের এই পদক্ষেপ কোরীয় উপদ্বীপে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের লক্ষ্যের বিপরীত। এটি উপদ্বীপের উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা ক্ষুণ্ন করছে।