শিরোনাম
সুদানে যুক্তরাষ্ট্রের একটি কূটনৈতিক বহরে গুলি চালানো হয়েছে। তবে সোমবারের এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। খবর বিবিসির।
তিনি এই ঘটনাকে বেপরোয়া ও দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং অনিরাপদ বলে উল্লেখ করেছেন। এর আগে সুদানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশেষ দূত আইদান ও'হারা রাজধানী খার্তুমে নিজ বাড়িতে লাঞ্ছিত হয়েছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে।
জাতিসংঘের তথ্য মতে, দেশটিতে তিনদিনের সংঘাতে ১৮৫ জন নিহত এবং ১৮০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে। শহরটিতে বিমান হামলা, গোলাবর্ষণ এবং ছোট-বড় নানা ধরনের অস্ত্র দিয়ে সংঘাত চলছে।
রাজধানী খার্তুমে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও সেনা সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই বাহিনীর মধ্যে শনিবার লড়াই শুরু হয়। সংঘাতের কেন্দ্রে রয়েছে শীর্ষ দুই জেনারেল এবং সবশেষ এই সংঘর্ষের জন্য তাদের নেতৃত্বাধীন দুই বাহিনী পরস্পরকে দায়ী করছে।
তিনদিন ধরে চলা এই লড়াইয়ের কারণে সোমবার হাসপাতালগুলোতে ব্যাপক চাপ তৈরি হয়েছে। এতে করে মেডিক্যাল সরবরাহ ও খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।
সেনাবাহিনী ও আরএসএফ বাহিনীর মধ্যে নতুন করে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষের কারণে রাজধানী খার্তুমসহ সারা দেশের মানুষের মধ্যে আবারও বড় ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
২০২১ সালের অক্টোবরে এক সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে সুদানের ক্ষমতা মূলত সামরিক জেনারেলদের হাতে। এর নেতৃত্বে রয়েছেন জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। তার প্রতি অনুগত সামরিক ইউনিটগুলোর সঙ্গে লড়াই চলছে আরএসএফের, যার নেতৃত্বে রয়েছেন সুদানের উপ-নেতা মোহাম্মদ হামদান দাগালো। তিনি হেমেডটি নামেও পরিচিত।
দাগালো বলেছেন, তার সৈন্যরা সব সেনা ঘাঁটি দখল না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে। অপরদিকে সুদানের সশস্ত্র বাহিনীগুলোও আধা-সামরিক বাহিনী আরএসএফ-কে ধ্বংস না করা পর্যন্ত কোনো ধরনের আপোস-আলোচনার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে।