সিরিয়ায় মার্কিন হামলায় শীর্ষ আইএস নেতা নিহত

ফানাম নিউজ
  ১৯ এপ্রিল ২০২৩, ২২:০২

সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর হামলায় জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএসআইএস) এক শীর্ষ নেতা নিহত হয়েছেন। মার্কিন সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হেলিকপ্টার দিয়ে অভিযান চালানোর সময় তিনি নিহত হন। খবর আল জাজিরার।

ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হেলিকপ্টার দিয়ে চালানো ওই অভিযানের মূল টার্গেট ছিলেন আব্দ আল হাদি মাহমুদ আল হাজি। সোমবার সকালে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ওই হামলা চালানো হয়।

ওই বিবৃতিতে আব্দ আল হাদিকে মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী এবং আইএসের নেতা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

আইএস বিদেশে কর্মকর্তাদের অপহরণের পরিকল্পনা করছে এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার অভিযান চালায় মার্কিন বাহিনী। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ওই অভিযানে আইএসের আরও দুই সদস্যও নিহত হয়েছেন। তবে অভিযান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি।

মাত্র দুই সপ্তাহ আগেই সিরিয়ার ওই একই অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে আইএসের অপর এক শীর্ষ নেতা খালিদ আয়াদ আহমেদ আল জাবুরিকে হত্যা করে মার্কিন বাহিনী। সে সময় জানানো হয়, জাবুরি ইউরোপ ও তুরস্কে হামলার পরিকল্পনার জন্য দায়ী।

সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, তুরস্ক-সিরিয়ার উত্তর সীমান্তের জারাব্লুস শহরের প্রায় ২৫ কিলোমিটার (১৫ মাইল) পশ্চিমে আল-সুওয়াইদাহ গ্রামের একটি ভবন লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়।

২০১৪ সালে উত্থানের পর সিরিয়া ও ইরাকের বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করে নিজেদের খিলাফত প্রতিষ্ঠা করে আইএস। সেসময় পূর্ব ইরাক থেকে পশ্চিম সিরিয়া পর্যন্ত প্রায় ৮৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করে নিয়েছিল তারা।

কিন্তু তিন বছরের মধ্যে, ২০১৭ সালে সিরিয়া অংশে অধিকৃত অধিকাংশ এলাকা হারায় এ সন্ত্রাসীগোষ্ঠী। তার দুবছর পর, ২০১৯ সালে ইরাকের অধিকৃত অঞ্চলগুলোও হাতছাড়া হয়ে যায় তাদের।

আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, এ গোষ্ঠীর গোপন হামলাকারী দল বা ‘স্লিপার সেল’ এখনও সক্রিয় আছে। জাতিসংঘের ধারণা, সিরিয়া ও ইরাকে এখনো ৬ থেকে ১০ হাজার আইএস সদস্য রয়েছেন। তারা সিরিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে প্রায়ই বোমা হামলা ও নাশকতা করে থাকেন।

আইএসের আঞ্চলিক সহযোগী গোষ্ঠিীগুল বিশ্বের অন্যান্য সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলেও প্রভাব বিস্তার করেছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, আইএসের সবচেয়ে শক্তিশালী ও সুপ্রতিষ্ঠিত নেটওয়ার্কগুলো এখনো আফগানিস্তান, সোমালিয়া ও লেক চাদ এলাকায় রয়ে গেছে।