শিরোনাম
তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ সব টার্গেটে হামলা এবং দ্বীপটিকে ঘিরে ফেলার মহড়া চালাচ্ছে চীন। তাইওয়ান ঘিরে বেইজিংয়ের তিন দিনব্যাপী এ সামরিক মহড়ার আজ শেষ দিন। এটিকে তাইওয়ানিজদের জন্য কড়া হুঁশিয়ারি বলে উল্লেখ করেছে চীন। গত সপ্তাহে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্র সফরের জবাবে এই মহড়া চালাচ্ছে তারা।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, এই মহড়ায় চীনা সামরিক বাহিনীর দূরপাল্লার রকেট, নৌবাহিনীর ডেস্ট্রয়ার, ক্ষেপণাস্ত্রবাহী জাহাজ, বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান, বোমারু বিমান, জ্যামারসহ আরও অনেক অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা হচ্ছে।
তাইওয়ান বলেছে, গত শনিবার অন্তত ৭১টি চীনা যুদ্ধবিমান দ্বীপটির চারপাশ দিয়ে উড়ে গেছে। অন্তত ৪৫টি সামরিক বিমান হয় তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে অথবা সেগুলো তাইওয়ানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বিমান প্রতিরক্ষা জোনের দিকে উড়ে গেছে।
বেইজিং এই মহড়ার নাম দিয়েছে ‘জয়েন্ট সোর্ড’। এতে তাদের ১১টি যুদ্ধজাহাজও অংশ নিচ্ছে।
মহড়ার প্রথম দিন চীনের একটি যুদ্ধজাহাজ পিংটন দ্বীপের কাছে অবস্থান নিয়ে সেখান থেকে ফায়ার করেছে। চীনের এই দ্বীপটি তাইওয়ানের সবচেয়ে কাছের।
চীনের এই সামরিক তৎপরতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাইওয়ানের কর্মকর্তারা। তাদের অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের যুক্তরাষ্ট্রকে সফরকে এই সামরিক মহড়ার অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে এ অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার ব্যাপারে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা চীনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন, তারা যেন এই মহড়ার কারণ হিসেবে প্রেসিডেন্ট সাই-এর যুক্তরাষ্ট্র সফরকে ব্যবহার না করে। একই সঙ্গে ‘স্থিতাবস্থার পরিবর্তন না ঘটানো এবং সংযম প্রদর্শনেরও’ আহবান জানিয়েছেন তারা।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, চীন কী করছে তার ওপর নিবিড়ভাবে নজর রাখা হচ্ছে। ওই অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা বজায় রাখাসহ জাতীয় নিরাপত্তার অঙ্গীকার রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের যথেষ্ট উপকরণ ও ক্ষমতা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭৯ সালে বেইজিংয়ের স্বার্থে তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। তবে আইন অনুসারে তারা তাইওয়ানকে রক্ষার ব্যাপারে সাহায্য দিতে বাধ্য।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বেশ কয়েকবার বলেছেন, চীন যদি তাইওয়ানকে আক্রমণ করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাতে হস্তক্ষেপ করবে।