শিরোনাম
বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের শেষ দিনেও আদানি ও রাহুল ইস্যুতে উত্তাল ভারতের সংসদ। বৃহস্পতিবার সংসদ থেকে বিজয় চক পর্যন্ত পতাকা মিছিল করেছে বিরোধীরা। কংগ্রেসের নেতৃত্বে এ মিছিলে অংশ নেয় ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি ও এনসিপি এবং বাম সাংসদরা। এসময় প্রবীণ কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীও উপস্থিত ছিলেন।
পরে সংবাদ সম্মেলনে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে আদানি বলেন, মোদি সরকার গণতন্ত্রের পক্ষে অনেক কথা বললেও গণতন্ত্রকে গুরুত্ব দেয় না, সরকার চায় না সংসদ সচল থাকুক।
তিনি বলেন, আমরা জানতে চাই কীভাবে মাত্র আড়াই বছরে আদানির সম্পদ ১২ লাখ কোটি টাকা হয়ে গেল। কেন সরকার এত সুযোগ-সুবিধা সবকিছু দিচ্ছেন শুধু একজন পুঁজিপতিকে?
কংগ্রেস সভাপতি বলেন, আমাদের সংসদে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। আমি ৫০-৫২ বছর ধরে রাজনীতিতে করছি, গণতন্ত্রের পক্ষে এমন কালো দিন আমরা আগে কখনও দেখিনি।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টা দেশের সম্পদ নিয়ে। কিন্তু তারা যুগ্ম সংসদীয় কমিটিতে সম্মত হল না। কারণ ‘ডাল মে কুছ কালা হ্যায়’।
আদানি প্রসঙ্গে কংগ্রেসের প্রবল তোপের মুখে এদিন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, গোটা দেশ দেখছে কংগ্রেস একজন নেতার জন্য কী করে চলেছে। আমরা সবাই দেখেছি সুরাট আদালতে কীভাবে সদলবলে গিয়ে কংগ্রেস বিচারব্যবস্থার ওপরে চাপ সৃষ্টি করেছে। একজন কংগ্রেস নেতার দাবি, গান্ধী পরিবারের জন্য আলাদা আইন দরকার।
কিরেন রিজিজুর বক্তব্যের জবাবে কংগ্রেস সংসদ সদস্য কেসি বেণুগোপাল বলেন, আপনারা কেন আদানি কেলেঙ্কারি নিয়ে আলোচনা করতে চাইছে না?
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব ছিল বেশ ঘটনা বহুল। আগামী বছর লোকসভা ভোট থাকায় চলতি বছর বাজেট অধিবেশনে ‘ভোট অন অ্যাকাউন্ট’ পেশ করে মোদি সরকার। গোটা অধিবেশনে মাত্র ১৫ মিনিটের আলোচনায় পাস হয় ৫০ লাখ কোটি রুপির বাজেট। অধিবেশনের শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে শেয়ার জালিয়াতির অভিযোগ ঘিরে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ে তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবি তোলেন বিরোধীরা। এছাড়া লন্ডনে দেশবিরোধী মন্তব্য করেছেন রাহুল গান্ধী এমন দাবিতে সংসদের অধিবেশনে সরব হয়ে ওঠেন বিজেপি সংসদ সদস্যরা। রাহুল গান্ধীকে ক্ষমা চাইতে হবে এমন দাবিতে বারবার মুলতবি হয় লোকসভা ও রাজ্যসভা।
এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই মানহানির মামলায় স্পিকার রাহুল গান্ধীর সংসদ পদ খারিজ করেন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, বৃহস্পতিবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সৌজন্যমূলক চায়ের আমন্ত্রণও জানালেও তা প্রত্যাখ্যান করেন কংগ্রেসসহ ১৩টি বিরোধী দল।