শিরোনাম
রোববার (২ মার্চ) দুপুরে এয়ার এশিয়ার চার্টার্ড বিমানে ভারতের ত্রিপুরায় এসে পৌঁছেছে জি-২০ দেশের বিভিন্ন প্রতিনিধিরা। রাজ্য সরকারের ব্যবস্থাপনায় এদিন মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর তাদের নিয়ে যাওয়া হয় সার্কিট হাউসের কাছে অবস্থিত বেসরকারি একটি হোটেলে।
এদিন এমবিবি বিমানবন্দর থেকে সার্কিট হাউসস্থিত বেসরকারি হোটেলে তাদেরকে নিয়ে আসার সময় রাস্তার উভয় পাশে নৃত্যের মাধ্যমে রাজ্যের জাতি উপজাতিদের ঐতিহ্যবাহী কৃষ্টি সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিনিধি দলের এই আগমনকে কেন্দ্র করে রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেমন কঠোর করা হয়েছে, তেমনি সাজিয়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে পর্যটন স্থানগুলোকে।
রাজ্যে অবস্থানকালে প্রতিনিধিদের আগরতলার এলবার্ট এক্কা পার্ক, নীরমহল প্যালেস, সিপাহিজলা বন্যপ্রাণী স্যান্টুরি, পূর্বাশা এবং অক্সিজেন পার্ক পরিদর্শন করানো হবে। পর্যটন স্থানগুলো পরিদর্শনের আগেই চকচকে করে তোলা হয়েছে এলবার্ট এক্কা পার্ক, কুমারটিলায় বাদ্যযন্ত্রের ফোয়ারা এবং উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ ও নীরমহল প্রাসাদকে। উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ ও নীরমহলের দুটি ক্ষেত্রে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো’র ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
এদিকে প্রতিনিধি দলের এই আগমনকে কেন্দ্র করে গত ক’দিন যাবতই বিভিন্ন রাস্তাঘাট এবং ফুটপাথের উন্নয়নের মাধ্যমে আগরতলা ও সিপাহীজলার ক্ষেত্রে সিটি ব্র্যান্ডিং করা হয়েছে।
এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে ৪টি বেলুন স্থাপন করা হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী শাল কাঠ ব্যবহার করে নীরমহলে তৈরি করা হয়েছে একটি র্যাম্পও। বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে ত্রিপুরা পর্যটকদের জন্য একটি পছন্দের স্থান হিসেবে আরও একবার বিবেচিত হবে বলে মনে করছে আয়োজকরা।
সোমবার (৩ মার্চ) সকাল থেকেই দু’দিনব্যাপী জি-টুয়েন্টি সম্মেলন শুরু হচ্ছে ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলার অদূরে হাপানিয়াস্থিত আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণের প্রদর্শনী হলে। এ বছরের থিম, ‘ক্লিন এনার্জি ফর এ গ্রিন ফিউচার’। অর্থাৎ সবুজ ভবিষ্যতের জন্য পরিচ্ছন্ন শক্তি। জি টুয়েন্টি দেশগুলো বিশ্বের জিডিপির ৮৫ শাতাংশ, বিশ্ব বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশ এবং বিশ্বের জনসংখ্যার ৩/৪ শতাংশ নিয়ে গঠিত। চলতি বছরে এই সম্মেলনের সভাপতিত্ব করছে ভারত।