শিরোনাম
ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে সংবিধান রক্ষা আবেদন জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেয়ার পর প্রথমবারের মতো দুই দিনের সফরে পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন দ্রৌপদী মুর্মু।
রাষ্ট্রপতিকে কাছে পেয়ে তার সম্মানে সোমবার সন্ধ্যায় কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে নাগরিক সংবর্ধনার আয়োজন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতিকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে মমতা বলেন, ভারতের মূল ভিত্তিই হলো বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য। সেই বৈচিত্র্য রক্ষা করার দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে উঠে মমতা বলেন, আমাদের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন দেশের সাংবিধানিক প্রধান। তাঁর কাছে একটাই অনুরোধ, দেশের সমস্ত মানুষের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করুন। সংবিধানকে রক্ষা করুন। যেকোনো বিপর্যয় থেকে দেশকে রক্ষা করুন। সবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য ভারতের মূলভিত্তি, সে কথা আমাদের মনে রাখতে হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে বারবার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো নষ্ট, সাংবিধানিক অধিকার খর্বের অভিযোগ এনেছেন তৃণমূল প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতিকে কাছে পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতার ফের সংবিধান রক্ষার দাবি বর্তমান রাজ্য এবং জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
এদিন রাষ্ট্রপতির নাগরিক সম্মাননা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ রাজ্যের অন্যান্য মন্ত্রীরা।
এদিন সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে নেতাজি ভবনে যান রাষ্ট্রপতি। নেতাজির বাসভবন ঘুরে দেখেন তিনি। এরপর সেখান থেকে বের হয়ে জোড়াসাঁকোয় যান। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাসভবন পরিদর্শন করেন। ঠাকুরবাড়িতে কবিগুরুর জন্মকক্ষ, আঁতুড়ঘর, প্রয়াণকক্ষ ঘুরে দেখেন। রবীন্দ্রভারতী মিউজিয়াম, বিচিত্রা ভবনেও যান রাষ্ট্রপতি।
মঙ্গলবার সকালে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বেলুড়মঠে যাওয়ার কথা। সেখান থেকে তাঁর গন্তব্য হবে বীরভূমের শান্তিনিকেতন। সেখানে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
বক্তৃতায় রাষ্ট্রপতি মুর্মুও এ রাজ্যের সামাজিক ন্যায় ও আত্মসম্মান রক্ষায় বাংলার ঐতিহ্য তুলে ধরায় বিষয়টি পর্যবেক্ষকদের নজরে এসেছে। সংবর্ধনার উত্তরে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘‘বাংলা সামাজিক ন্যায় এবং আত্মসম্মানকে প্রাধান্য দেয়।সকলকে সম্মান দেওয়া, সব সংস্কৃতিকে আপন করে নেওয়া বড় ব্যাপার।’’