শিরোনাম
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর পেনশন সংস্কারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ফ্রান্স। সম্প্রতি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ৪৫৭ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সংঘর্ষে ১৫০ জন নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন জানিয়েছেন। খবর বিবিসি ও এএফপির।
ফ্রান্স সরকারের প্রস্তাবিত অবসর নীতিমালার বিরুদ্ধে তিন মাস ধরে চলমান বিক্ষোভে এটিকে সবচেয়ে বড় সহিংসতার ঘটনা বলে উল্লেখ ধরা হচ্ছে। গত জানুয়ারির মাঝামাঝিতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাখোঁ সরকারি কর্মচারীদের অবসরে যাওয়ার বয়স বাড়ানোর উদ্যোগ নেন। অবসরের বয়স ৬২ থেকে বাড়িয়ে ৬৪ করার পরিকল্পনা হয় ও পার্লামেন্টে কোনো ধরনের ভোটাভুটি ছাড়াই এ সংস্কার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়। এর প্রতিবাদে ফ্রান্সের রাজপথে বিক্ষোভ চলছে। বৃহস্পতিবারের বিক্ষোভ বড় ধরনের সহিংসতায় পরিণত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসসহ বিভিন্ন সহিংসতা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা অগ্নিসংযোগ করেছেন। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়েছেন এবং লাঠিপেটা করেছেন। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বর্দো শহরের পৌর ভবনের বারান্দায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
প্যারিসে কয়েকশ কালো পোশাকধারী উগ্রপন্থি বিক্ষোভকারী ব্যাংক, দোকান ও ফাস্টফুড রেস্তোরাঁর জানালা ভেঙে ফেলেছেন ও সড়কে থাকা বিভিন্ন সরঞ্জাম নষ্ট করেছেন।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় ১০ লাখ ৮৯ হাজারের মতো মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন। শুধু প্যারিসে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার মানুষ। গত জানুয়ারিতে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর এটি ছিল রাজধানী শহরটিতে সবচেয়ে বড় জমায়েত। তবে দেশজুড়ে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষ অংশ নিয়েছিলেন ৭ মার্চের বিক্ষোভে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ওইদিন বিভিন্ন জায়গায় মোট ১২ লাখ ৮০ হাজার মানুষ বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন।
বুধবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ অবসরকালীন সংস্কারকে জরুরি বলে উল্লেখ করার পর বিক্ষোভকারীরা আরো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এদিন গণমাধ্যমে তিনি বলেন, এই সংস্কার করতে গিয়ে তার জনপ্রিয়তা কমে গেলেও তা মেনে নিতে প্রস্তুত আছেন তিনি।