শিরোনাম
ইউক্রেনে ‘যুদ্ধাপরাধ বন্ধ করতে’ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে চাপ দিতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইউক্রেন থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নিতে রাশিয়াকে আহ্বান জানাতে জিনপিংয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি।
তিনি বলেছেন, যুদ্ধবিরতি চাওয়াই যথেষ্ট হবে না। আমরা উদ্বিগ্ন যে, চীন হয়ত শুধু যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাবে, যাতে রুশ বাহিনী ইউক্রেনের সার্বভৌম ভূখণ্ডে অবস্থান করতে পারে। ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার না করে যুদ্ধ বিরতির অর্থ হবে রাশিয়ার অবৈধ বিজয়কে অনুমোদন করা। খবর- বিবিসি।
জন কিরবি বলেন, আমরা আশা করি প্রেসিডেন্ট শি ইউক্রেনের শহর, হাসপাতাল ও স্কুলে বোমা হামলা বন্ধ করতে পুতিনকে চাপ দেবেন। যুদ্ধাপরাধ ও নৃশংসতা বন্ধ করতে এবং সৈন্য প্রত্যাহার করতেও চাপ দেবেন আশা করি।
পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সোমবার রাশিয়া পৌঁছান শি জিনপিং। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এটি তার প্রথম রাশিয়া সফর। মঙ্গলবার তার সফরের দ্বিতীয় দিন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর আগে জানিয়েছে, ভ্লাদিমির পুতিনের আমন্ত্রণে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত মস্কো সফর করবেন। পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র হুয়া চুনিইং বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যাপারে চীন একটি ‘নিরপেক্ষ ও ন্যায্য’ অবস্থান নেবে এবং শান্তির লক্ষ্যে আলোচনার জন্য গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে।
পুতিনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির তিন দিনের মাথায় চীনের প্রেসিডেন্ট এই সফরে গেলেন। তবে রাশিয়া বা চীন আইসিসির সদস্য রাষ্ট্র নয়। তাই আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে তারা আমলে নিচ্ছেন না বলেই স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।
চীন এখন রাশিয়ার বড় মিত্র। বেইজিং এরই মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর লক্ষ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে। তাদের এই প্রস্তাবের পর শি জিনপিং মস্কো সফরে গেলেন। তবে চীনের এই মধ্যস্থতার প্রস্তাবে পশ্চিমা দেশগুলোর দিক থেকে সেরকম সাড়া পাওয়া যায়নি। বরং পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার কাছে অস্ত্র সরবরাহ না করতে চীনকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে।
কিছু মার্কিন গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, চীনা নেতার মস্কো সফরের পর প্রেসিডেন্ট শি এবং প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি টেলিফোনে কথা বলবেন। তবে এটি এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।