মার্চেই ৬ ভূমিকম্প, উদ্বেগ বাড়ছে দক্ষিণ এশিয়ায়

ফানাম নিউজ
  ২৩ মার্চ ২০২৩, ০১:১৯

মঙ্গলবার রাতের ভূমিকম্পসহ চলতি মার্চ মাসেই ভারতে ৬ বার ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটলো। চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে গতকাল পর্যন্ত ১৯ দিনে ৬ বার ভূমিকম্পের ঝাঁকুনিতে কেঁপে উঠে দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশ।এছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসেও চারটি ভূমিকম্প আঘাত হানে এই অঞ্চলে। ঘনঘন কাঁপুনিতে ভারত, বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলে তৈরি হয়েছে ব্যাপক উদ্বেগ।  

গতকালের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভারত সংলগ্ন আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বাদাখশান প্রদেশের হিন্দুকুশ পর্বত। 

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা  (ইউএসজিএস) বলছে, এই ভূমিকম্প ভূপৃষ্ঠের ১৮৭ কিলোমিটার গভীরে ছিল। এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮ রিখটার স্কেল। 

ভূমিকম্পটির উৎস আফগানিস্তান হলেও ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি ও কাশ্মীর, পাকিস্তানের ইসলামাদ, পেশোয়ার ও লাহোরসহ অনেক জায়গা এতে কেঁপে ওঠে। ভূমিকম্পে পাকিস্তানে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৯ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৬০ জন। 

বুধবার হিন্দুস্থান টাইসম এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- এ মাসের শুরুতেই একটি ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে। ২ মার্চ ৪ রিখটার স্কেল মাত্রায় ওই ভূমিকম্পটির উৎস ছিল ভারত সংলগ্ন নেপালের পূর্বাঞ্চলে। যার গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।

তার পরের দিনই আঘাত হানে আরেকটি ভূমিকম্প। ৩ মার্চ ৪.১ রিখটার স্কেলের ওই ভূমিকম্পটির উপকেন্দ্র ছিল ভারতের অরুণাচল প্রদেশ। 

এর তিন দিনের মাথায় ফের ৭ মার্চ ঝাঁকুনিতে কেঁপে ওঠে ভারতের আন্দামান ও নিকোবার দীপ অঞ্চল। সেই ভূমিকম্প ছিল  ৪.৯ রিখটার স্কেলের।

একদিন পরেই ৮ মার্চ ৪ রিখটার স্কেলের আরেকটি ভূমিকম্প হয় ভারত সংলগ্ন পাকিস্তানে গিলগিট-বালিস্তানে। ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত ছিল এর গভীরতা।

চারদিন পর ১২ মার্চ ৪.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মণিপুরের ওয়ানজিং অঞ্চল। যার গভীরতা ছিল আরও বেশি ৭৬ কিলোমিটার।

সর্বশেষ গতকাল ২১ মার্চের ভূমিকম্পটি ছিল আরও ভয়াবহ। আফগানিস্তানে ৬ দশমিক ৮ রিখটার স্কেল মাত্রায় এই ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে আফগানিস্তান, ভারত ও পাকিস্তানের অনেক জায়গা। 

শুধু তাই নয়, ফেব্রুয়ারি মাসেও একাধিক ভূমিকম্প আঘাত হানে এই অঞ্চলে। ফেব্রুয়ারির ১২, ১৬, ২২ ও ২৪ তারিখে ৪ থেকে ৫ রিখটার স্কেল মাত্রার আরও চারটি ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে। যেগুলোর উৎস ছিল ভারতের সিকিম, নেপালের পশ্চিমাঞ্চল, পাকিস্তানের ইসলামবাদ ও বাংলাদেশের ছাতক ও সিলেট। 

এ কারণে ভূমিকম্পের আতঙ্ক বাড়ছে দক্ষিণ এশিয়ায়।