শিরোনাম
ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ভ্লাদিমির পুতিনের নামে শুক্রবার (১৭ মার্চ ) গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। এরপর থেকেই আলোচনায় উঠে এসেছে, রুশ প্রেসিডেন্ট কি সত্যিই গ্রেফতার হবেন? তাকে কি আদৌ গ্রেফতার বা বিচারের সম্মুখীন করতে পারবে আইসিসি।
রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ অবশ্য বলে দিয়েছেন, রাশিয়া আন্তর্জাতিক আদালতকে স্বীকৃতি দেয় না। তারা এই প্রশ্নটিকে আপত্তিকর এবং অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন।
পুতিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ কী?
রোম সংবিধির দুটি অনুচ্ছেদের অধীনে ইউক্রেনীয় শিশুদের সঙ্গে রাশিয়ার আচরণের জন্য পুতিনকে অভিযুক্ত করেছে আইসিসি। অভিযোগে বলা হয়েছে, ইউক্রেনীয় বেসামরিক নাগরিকদের বেআইনিভাবে নির্বাসন এবং রাশিয়ায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
একই অভিযোগে রাশিয়ার শিশু অধিকার কমিশনার মারিয়া আলেকসেয়েভনা লভোভা-বেলোভার নামেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আইসিসি।
এর একদিন আগে গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনীয় শিশুদের জোরপূর্বক স্থানান্তরিত করাসহ যুদ্ধাপরাধ করেছে রাশিয়া।
আইসিসি তার বিবৃতিতে বলেছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা (পুতিন ও মারিয়া) বেআইনি নির্বাসন এবং ইউক্রেনের অধিকৃত এলাকা থেকে রাশিয়ায় বেআইনি স্থানান্তর করে যুদ্ধাপরাধ করেছেন, এটি বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে।
যদিও রাশিয়ায় স্থানান্তরিত শিশুদের সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি। তবে জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুসারে, রুশ এবং ইউক্রেনীয় উভয় কর্তৃপক্ষই বলেছে, যুদ্ধের কারণে কয়েক হাজার শিশু রাশিয়ায় স্থানান্তরিত হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, রুশ কর্তৃপক্ষ স্থানান্তরিত শিশুদের পালক পরিবারের সঙ্গে রেখেছে এবং তাদের রাশিয়ার নাগরিকত্ব দিয়েছে। এদের মধ্যে এমন শিশুও রয়েছে যারা বাবা-মায়ের কাছ থেকে হারিয়ে গেছে বা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বা তাদের বাবা-মাকে আটক করার সময় আলাদা করা হয়েছে।