শিরোনাম
বিচার বিভাগীয় সংস্কার পরিকল্পনার বিষয়ে কিছুটা নমনীয় হয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বিষয়টি নিয়ে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে জনসাধারনের অভূতপূর্ব প্রতিবাদ ও পশ্চিমা মিত্রদের সতর্কতার পরিপ্রেক্ষিতে সুর নরম করেছেন তিনি।
সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে ২ এপ্রিল ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে সংস্কার পরিকল্পনাটির অনুমোদন নেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন নেতানিয়াহু। তবে সোমবার (২০ মার্চ) নেতানিয়াহু ও ধর্মীয়-জাতীয়তাবাদী জোট মিত্ররা জানায়, ২০ এপ্রিল সংসদ পুনর্গঠন না হওয়া পর্যন্ত পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করা হবে না।
সমালোচক ও বিরোধীদের দাবি, প্রস্তাবিত সংস্কারের যে অংশগুলো এখনো অনুমোদনের জন্য নির্ধারিত রয়েছে, তা ইসরায়েলের বিচারক নির্বাচন পদ্ধতিতে হস্তক্ষেপ করবে। তবে নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলেছিলেন, তার লক্ষ্য সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা।
এদিকে, আইনি পরিবর্তন নিয়ে অস্থির হয়ে উঠেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের নতুন সরকার দেশটির বিচার ব্যবস্থা সংশোধন ও সুপ্রিম কোর্টকে ‘দুর্বল’ করার পরিকল্পনাটি উন্মোচন করার পর থেকেই বিক্ষোভ শুরু করে বিরোধীরা।
বিরোধীদের দাবি, এসব সংস্কার বাস্তবায়িত হলে সুপ্রিম কোর্টের রায়গুলো খুব সহজেই বাতিল করার ক্ষমতা পাবে নেসেট। অর্থাৎ, বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা পাবেন পার্লামেন্ট সদস্যরা।
সমালোচকরা বলছেন, নেতানিয়াহু সরকারের এ পরিকল্পনা বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলবে ও দুর্নীতিকে উৎসাহিত করবে। পাশাপাশি এ সংস্কারের ফলে সংখ্যালঘুদের অধিকার নষ্ট হবে ও আদালত ব্যবস্থা তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে। এমনকি, নতুন এ সংস্কার পরিকল্পনা ইসরায়েলের চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স ব্যবস্থাকেও নষ্ট করে ফেলবে।
সমালোচকরা আরও দাবি করছেন, এ পরিকল্পনা শুধু যে বিচারব্যবস্থাকে দুর্বল করবে তা নয়। নাগরিক স্বাধীনতাকেও বিপন্ন করবে ও পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্কের পাশাপাশি দেশীয় অর্থনীতিকেও ক্ষতির মুখে ফেলবে।