শিরোনাম
সামরিক উন্নয়নের পাশাপাশি সম্প্রতি লিথিয়াম আহরণে জোর দিয়েছে বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীন। এ আহরণ অব্যাহত থাকলে ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় লিথিয়াম সরবরাহকারী দেশ হিসেবে জায়গা করে নেবে দেশটি। এমনকি, বিশ্বের মোট লিথিয়ামের এক-তৃতীয়াংশের নিয়ন্ত্রণ থাকবে চীনের হাতে।
সোমবার (১৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায় সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বহুজাতিক ব্যাংক ও বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইউবিএস এজি। প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, ২০২৫ সালের মধ্যে আফ্রিকাসহ অন্যান্য দেশে চীন নিয়ন্ত্রিত খনিগুলো থেকে ৭ লাখ ৫ হাজার টন লিথিয়াম আহরিত হবে। ২০২২ সালে চীন মোট ১ লাখ ৯৪ হাজার টন লিথিয়াম উত্তোলন করেছে।
বলা হচ্ছে, লিথিয়ামের এ বিশাল আহরণযজ্ঞের মাধ্যমে বিশ্বের লিথিয়ামের মোট চাহিদার ৩২ শতাংশ চীন একাই পূরণ করবে। ২০২২ সালে ব্যাটারি তৈরিতে অপরিহার্য হয়ে ওঠা এ প্রাকৃতিক সম্পদের ২৪ শতাংশের যোগান দিয়েছিল শি জিনপিংয়ের দেশ।
যেহেতু পুরো বিশ্ব জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে বৈদ্যুতিকশক্তি কাজে লাগানোর দিকে মনোযোগ দিচ্ছে, তাই লিথিয়াম আহরণে উন্নত দেশগুলোর মধ্যে বেশ প্রতিযোগিতা চলছে। এক্ষেত্রে চীনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হলো যুক্তরাষ্ট্রও। চীনের অনেক বেশি লিথিয়াম প্রয়োজন কারণ, কারণ দেশটিতে প্রতিবছর লাখ লাখ বৈদ্যুতিক যানবাহন তৈরি হচ্ছে।
এদিকে, চীনের যেকোনো অগ্রগতি ঠেকাতে মরিয়া যুক্তরাষ্ট্র। তারই ধারাবাহিকতায়, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের আধিপত্য চীনের ‘সামরিক অগ্রগতি’ ঠেকাতে নতুন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্য। সোমবার (১৩ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান দিয়েগো নৌ-ঘাঁটিতে মিলিত হন এ তিন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। সেসময় তারা অকাস জোটের নতুন পরিকল্পনা গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অকাসের নতুন চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন তিনটি সাবমেরিন কিনবে অস্ট্রেলিয়া।
প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আরও দুটি ভার্জিনিয়া শ্রেণির সাবমেরিন নিতে পারবে অস্ট্রেলিয়া। এগুলোর প্রথম চালান আগামী ১০ বছরের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হবে।
অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়াকে এসএসএন-অকাস মডেলের সাবমেরিন দেবে যুক্তরাজ্য। এ সাবমেরিনগুলো যুক্তরাজ্যের নকশা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিতে তৈরি হবে।