শিরোনাম
ফ্রান্স নিয়ন্ত্রিত কর্সিকা দ্বীপের পার্লামেন্টে স্থানীয় কর্সিকা ভাষায় আলোচনা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সংবিধানের কথা উল্লেখ করে সেখানে শুধু ফরাসি ব্যবহার বাধ্যতামূলক বলে জানানো হয়েছে। এতে দ্বীপবাসীর মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। খবর: দ্য গার্ডিয়ান’র।
বৃহস্পতিবার বাতিসা শহরের আদালত রায়ে বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় কার্যালয়ে শুধু ফরাসি ভাষাই ব্যবহার করা যাবে।’
কর্সিকা দ্বীপের লোকজনের ভাষাটিকে বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কাভুক্ত তালিকায় রেখেছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কো। দেড় লাখের মতো মানুষ এ ভাষায় কথা বলে।
বৃহস্পতিবারের রায়ের মধ্য দিয়ে কর্সিকা দ্বীপের পার্লামেন্টে তাদের নিজেদের ভাষা নিষিদ্ধ হয়ে গেল।
কর্সিকান ন্যাশনের প্রধান জ্যাঁ-ক্রিস্টোফ অ্যাঞ্জেলিনি টুইটে বলেন, ‘আসলে আমাদেরকে হেয় করা হচ্ছে, এটি আমাদের ওপর অবিচার ও মানহানিকর।’
১৭৬৮ সাল থেকে ফ্রান্সের অধীনে থাকা কর্সিকা দ্বীপের ফরাসি কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে দা-কুমড়া সম্পর্ক। কয়েক দশক ধরে আরও স্বায়ত্বশাসন, এমনকি স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন চলছে সেখানে। দ্বীপটির কৃষ্টি-কালচারের সিংহভাগ ইতালীয়, তবে এর নিয়ন্ত্রণ ফ্রান্সের।